উজানটিয়ার পতিত বদ্ধ জলাশয় হবে মনোরম ‘বঙ্গমাতা ফজিলেতুন্নেছা বিনোদন লেক’
পেকুয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলাস্থ উজানটিয়া ইউনিয়নের বহুল পরিচিত বদ্ধ জলাশয়কে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা বিনোদন লেকে পরিণত করা হচ্ছে। এ নিয়ে ইতিমধ্যে উপজেলা সমন্বয় সভায় আলোচনা পর্যালোচনা ও প্রস্তাব চূড়ান্ত হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার উপকুলীয় ও সাগরকূলবর্তী গ্রাম হিসাবে পরিচিত উজানটিয়া ইউনিয়ন। আর এ ইউনিয়নে রয়েছে বিশাল আয়তনের একটি বদ্ধ জলাশয়। স্থানীয়দের কাছে যা বাঁধাখাল নামে পরিচিত। ওই ইউনিয়নের সুতাচোরা বদ্ধ জলমহালটি প্রায় ২১ একর ২০শতক পরিমানের এ বদ্ধ জলাশয় ঘিরে রয়েছে কোলাহল মুক্ত নয়নাভিরাম মনোরম পরিবেশ আর একাধিক প্রতিষ্টান ও রাস্তাঘাট বেষ্টনী। চারমুখী রাস্তা আর ৪ টি মসজিদ, ৩ টি বিদ্যালয় ও ইউপি ভবন বেষ্টিত প্রাকৃতিক শোভামন্ডিত পরিবেশের বদ্ধ জলাশয়টি বিনোদন বঞ্চিত মানূষের (চট্টগ্রামের ফয়েজলেক বা কাপ্তাই লেকের আদলে) জলাশয় দর্শনের সাধ মেটায় বলে অধিকাংশ মানূষের কথা।
সাম্প্রতিক সময়ে বিদ্যমান এই জলাশয়ের অমিত সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে এ প্রতিবেদক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করলে বিষয়টি দৃষ্টি গোচরিভুত হয় সংশ্লিষ্ট সকলের। বিশেষ করে পেকুয়ার বর্তমান ও উজানটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সেটির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সক্রিয় হয়ে নানা পরিকল্পনায় মাতেন। সর্বশেষ চলতি মাসে অনুষ্টিত উপজেলা উন্নয়ন সভায় উজানটিয়ার অমিত সম্ভাবনাময়ী সুতাচোরা বদ্ধ জলমহাল (বাঁধাখাল) টিকে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা বিনোদন লেক হিসাবে আকর্ষনী পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তরে যাবতীয় প্রস্তাবলী উপস্থাপন করা হয়েছে। ইউএনও মো. মারুফুর রশিদ খানের সম্মতিক্রমে উজানটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা এম.শহিদুল ইসলাম চৌধুরী সেটির উপস্থাপনা করেছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানায়।
এ ব্যাপারে জানতে উজানটিয়া ইউপির চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা এম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, আমার ইউনিয়নে এ বাধাঁখালটি খাস জায়গা। এটি দীর্ঘ দিনের আশা। এ বাধাঁখালকে শেখ বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা বিনোদন লেকে পরিণত করার জন্য প্রক্রিয়া চলছে।
এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মারুফুর রশিদ খানের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ পরিকল্পনা প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে শুধু ওই গ্রামেই নয় পুরো পেকুয়া উপজেলার পর্যটন সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলবে।