উচ্চ কন্ঠস্বরের আফজল মেম্বারকে মনে করছে পানছড়ি

পানছড়ি প্রতিনিধি:

পানছড়ি উপজেলার দমদম গ্রামের মৃত হাসান আলীর ছেলে মো. আফজল মিয়া। সুঠাম দেহের অধিকারী আফজল মেম্বার কখনো কোমল সুরে কথা বলতে পারতেন না। ছোট ছোট শিশুরাও উচ্চ কন্ঠে ভয় পেয়ে উঠতো।

কথা বলার সময় টেবিল চাপড়ে কথা বলা ছিল তার অভ্যাস। কিন্তু মনটা ছিল পরিষ্কার।  অঢেল সম্পত্তির মালিক, বিশিষ্ট সমাজ সেবক, কাঠ ব্যাবসায়ী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা আফজল মেম্বার নিজ এলাকায় সব সময় খালি পায়ে চলতেন।

চায়ের আসরে উচ্চস্বরে রসালো রসালো কথার আমেজে জমিয়ে রাখতেন রাত ১১টা-১২টা পর্যন্ত। কিন্তু আজ এসব শুধু স্মৃতি। চায়ের আসরগুলো যেন নিষ্প্রাণ।

গত ২০ নভেম্বর সোমবার রাত সাড়ে নয়টা’য় নিজ গ্রামের চায়ের আসরেই তিনি অসুস্থতা বোধ করলে পানছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করলে পুরো পানছড়ি জুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া।

মঙ্গলবার বাদ আসর পানছড়ি কলোনীপাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন বাজার উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নামাজে জানাজায় নামে মানুষের ঢল। যা পানছড়ির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জানাজা বলে মুরুব্বীদের দাবি। ২৯৮ নং আসনের স্থানীয় সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা আফজল মেম্বারের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছে।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ব্যক্তিগত সহকারী খগেন ত্রিপুরা তা নিশ্চিত করেন। খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র মো. রফিকুল আলম ও জাহেদুল আলমও প্রাণপ্রিয় মানুষটির নামাজে জানাজায় অংশ নিতে ছুটে আসে খাগড়াছড়ি থেকে।

৩নং সদর পানছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাজির হোসেন জানায়, আমরা একজন অভিভাবককে হারিয়েছি। আফজল ছিলেন অত্র এলাকার নিবেদিত প্রাণ। ৩নং পানছড়ি ইউপির পক্ষ থেকেও তিনি সমবেদনা জানান।

পানছড়ি দমদম এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, চায়ের আসরে আফজল মিয়ার স্মৃতিচারণ। অশ্রুসজল চোখে সবার একটাই কথা আমাদের প্রাণপ্রিয় মানুষটিকে প্রতিটি মুহুর্ত মনে করছি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন