Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

উচ্চমান সহকারী মনির আহাম্মদের কাছে জিম্মি মাটিরাঙ্গা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি / মাটিরাঙা:

বিভাগীয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকদের সাথে অসদাচরন, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম এবং ফাইল আটকে উৎকোচ গ্রহণের দু’টি অভিযোগের পরেও বহাল তবিয়তে আছেন মাটিরাঙা উপজেলা শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক মো. মনির উদ্দীন আহম্মদে। তার অনিয়মের বিরুদ্ধে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও  শিক্ষকদের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি অভিযোগের পরেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তার খুটির জোর নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ভুক্তভোগী অনেকে।

মাটিরাঙা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে কীভাবে শিক্ষকদের হয়রানি করছেন তার ফিরিস্তি তুলে ধরে দুর্নীতে অতিষ্ট শিক্ষকরা পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করার পর থেকে কখনো ছুটি নিয়ে আবার কখনো ছুটি না নিয়েই কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন উচ্চমান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক মো. মনির উদ্দীন আহম্মদ।

মনির আহাম্মদের কাছে জিম্মি মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস এমন অভিযোগ শিক্ষকদের। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সমাবেশ চাকমাকে অফিসের ভেতর লাঞ্ছিত করার অভিযোগও রয়েছে মনির আহাম্মদের বিরুদ্ধে।

অন্যদিকে চলতি বছরের ২০ মার্চ উচ্চমান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক মো. মনির উদ্দীন আহম্মদের বিরুদ্ধে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারে কাছে লিখিত অভিযোগ করেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সমাবেশ চাকমা। যা এখনো আলোর মুখ দেখেনি।

জানা গেছে, বছরে একজন কর্মচারী বছরে ২০দিন সিএল (নৈমিত্তিক) ছুটি পাওয়ার কথা থাকলেও মনির আহাম্মদ চলতি বছরে ২৩ দিন সিএল (নৈমিত্তিক) ছুটি ভোগ করেছে। অন্যদিকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ৩০ ও ৩১ জুলাই কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। এছাড়াও চলতি বছরের শুরু থেকে বিভিন্ন ধাপে ১১৩ দিন অর্জিত ছুটি ভোগ করেছেন (২৯ আগস্ট পর্যন্ত)। ফলে তার অনুপস্থিতিতে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অবস্থা অনেকটাই লেজেগোবরে।

তার অনুপস্থিতির ফলে দাপ্তরিক কাজে কোন অসুবিধা হয় কিনা জানতে চাইলে মাটিরাঙ্গা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কৃষ্ণলাল দেবনাথ বলেন, অসুবিধা তো হবেই। তিনি বর্তমানে ছুটিতে আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিতির কারণে গত মাসের বেতন আটকে দেয়া হয়েছে।

বিভিন্ন কাজে শিক্ষকদের কাছ থেকে ঘুষ দাবিসহ শিক্ষকদের পাশাপাশি নিজ অফিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সাথে অসদাচরণের অভিযোগ রয়েছে মনির আহাম্মদের বিরুদ্ধে। পৃথক দুটি অভিযোগ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে পারিবারিক সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টারও অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে মাটিরাঙ্গার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পক্ষ থেকে করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৭ জুলাই সরেজমিনে অভিযোগের তদন্ত করেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান। এদিকে অভিযোগের তদন্ত শেষে একমাস অতিবাহিত হলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় হতাশ অভিযোগকারী ও ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য মনির আহাম্মদের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

বিভাগীয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকদের সাথে অসদাচরন চাকুরী বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন উল্লেখ করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা সহাকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সমাবেশ চাকমা বলেন, তার (মনির আহম্মদ) আচরন পুরো শিক্ষা বিভাগককে কলঙ্কিত করেছে।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ভবানীচরন রোয়াজা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এরশাদ আলী মাটিরাঙা উপজেলা শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক মো. মনির উদ্দিন আহম্মদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান। এদিকে ক্ষমা চাইলেই  যদি কেউ সব অপরাধ থেকে পার পেয়ে যায় তাহলে অপরাধ কমবেনা বরং দিনদিন ডালপালা গজাবে বলে মনে করেন নতুনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কীর্তি ভূষণ ত্রিপুরা।

শুধু কর্মকর্তা বা শিক্ষকদেরই নয়, ভরন-পোষন না দেয়াসহ মা-বাবার সাথে অসদাচরনের অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন খোদ তার জন্মদাতা মো. মনছুর আহাম্মদ। চলতি বছরের ১১জুন রামগড় থানায় করা সাধারণ ডাইরি (জিডি) তিনি তাকে এবং তার ছোট ছেলে মঞ্জুর আহাম্মদকে হত্যার হুমকি প্রদানের অভিযোগ করেন মনির আহাম্মদের বিরুদ্ধে। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে ঘটনার তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা মো. মোবারক হোসেন ২৩ জুন আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এবং গেল ২৮ জুন ওই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে গৃহিত হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন