উখিয়া কোর্টবাজারে খাস জায়গায় ডেভলাপার কোম্পানীর বহুতল ভবণ নির্মানের অভিযোগ

উখিয়া প্রতিনিধি:

উখিয়ার ব্যস্ততম কোর্টবাজারস্থ সোনার পাড়া সড়কে কোটি টাকা মূল্যের  সরকারি খাস জায়গার উপর বহুতল ভবণ নির্মাণ করছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। চট্টগ্রামের একটি ডেভলাপার কোম্পানি সরকারি নির্দেশকে অমান্য করে আরব সিটি সেন্টার নামক বহুতল বাণিজ্যিক শফিং সেন্টারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

এমনকি গেল বৃহস্পতিবার ওই সরকারি জায়গায় কোন কিছু না করার জন্য উখিয়া ভূমি অফিস সর্ব সাধারণের সতর্কমূলক জরুরী বিজ্ঞপ্তির সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেওয়া হলেও ১২ ঘন্টার মধ্যে ওই কর্তৃপক্ষের  সাইনবোর্ড  উধাও হয়ে গেছে। অনেকের অভিযোগ ডেভলাপার কোম্পানির ভাড়াটিয়া কিছু চিহ্নিত লোক ও ভূমি দূস্যরা এ সরকারি সাইনবোর্ডটি রাতের আঁধারে খুলে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলেছে। এতে জড়িত রয়েছে ম্যানেজার মো. হাসান, ও দারোয়ানসহ কয়েক জন চিহিৃত ব্যক্তি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উখিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) একরামুল সিদ্দিকী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আমি অবহিত হওয়ার পর কারা সাইনবোর্ডটি খুলে নিয়েছে খুজেঁ বের করে তদন্ত পূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সদর তহশিলদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা এ কাজে জড়িত তারা ফৌজদারী অপরাধ করেছে। এছাড়াও এ ব্যাপারে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জকে জানানো হয়।

খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, উপজেলার রত্না পালং গ্রামের আব্দুজলিল প্রকাশ বান্টু নামক জনৈক ব্যক্তি কোর্টবাজার সোনার পাড়া সড়কে ৫ শতক জমি ভোগদখল করে আসছিল। জনশ্রুতি রয়েছে ওই জায়গা সরকারি খাস জমি ছিল। কৌশলে খতিয়ান সৃজন করে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার হাজী সেলিম উদ্দিনের মালিকানাধীন আরব সিটি সেন্টার নামক এক ডেভলাপার কোম্পানিকে হস্তান্তর করেন।

বর্তমানে ওই জায়গায় আবর সিটি শফিংমল নামক বহুতল ভবণ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতেছে।

উখিয়া ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কোর্টবাজারে কোটি টাকা মূল্যের সরকারি জয়গার উপর বহুতল ভবণের নির্মাণ কাজ অবৈধ। ওই জায়গা সরকারি হওয়ায় কুট জালিয়াতির মাধ্যমে সৃজিত খতিয়ান স্থগিত করা হয়।

এছাড়াও সরকারি স্বত্ব ও স্বার্থের প্রতিয়মান হওয়ায় এ ব্যাপারে উখিয়া ভূমি অফিস সরকারের পক্ষ হয়ে মিস মামলা দায়ের করে। যার নং ২২/১৭-১৮। মৌজা রত্না পালং বিএস দাগ নং ১২৯ ও ১৩১। জমির পরিমান ৫ শতক।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি একরামুল সিদ্দিকী বলেন, ফেরাবী ও জালিয়াতির মাধ্যমে তথ্য গোপন করে সরকারি খাস জায়গার সৃজিত খতিয়ান ইতিমধ্যে স্থগিত করা হয়েছে এবং ওই খতিয়ান বাতিল করার জন্য জেলা প্রসাশককে লিখিত ভাবে আবেদন করা হয়।

এছাড়াও কোটি টাকার সরকারি খাস জায়গা জবর দখলকারীর কবল থেকে উদ্ধার করার জন্য উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার প্রক্রিয়া হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন, সহকারী কমিশনার ভূমি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন