উখিয়া ইউপি নির্বাচনে প্রার্থীদের আচরণ বিধি লঙ্ঘন: প্রশাসন নীরব

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন

উখিয়া প্রতিনিধি:

উখিয়া ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতাকারী চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা আচরণ বিধি লঙ্ঘন করলেও প্রশাসন রয়েছে সম্পূর্ণ নীরব। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় দিন দিন আচরণবিধি প্রকাশ্য লঙ্ঘন করে যাচ্ছে প্রার্থীরা। ফলে নির্বাচন সুষ্ট নিয়ে আশংকা করছেন অনেক সচেতন মহল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রতীক বরাদ্দ না হওয়া পর্যন্ত প্রার্থীরা গণজমায়েত, সমাবেশ, শো-ডাউন ও গাড়ী বহন নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল না করার বিধিবিধান জারি রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন বিধিবিধান অমান্য করলে কঠোর শাস্তিসহ জরিমানা করার নির্দেশও রয়েছে। কিন্তু উখিয়ায় প্রার্থীরা এসব নির্বাচন কমিশনের আইন অমান্য করে যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছে।

প্রত্যেক্ষ দর্শীরা জানান, গতকাল উপজেলা পরিষদের মনোনয়নপত্র দাখিল করার সময় প্রার্থীরা নির্বাচন আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেছে। শত শত গাড়ী বহন নিয়ে শো-ডাউনের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে। জালিয়াপালং ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজান, হলদিয়াপালং ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আমিনুল হক আমিন, রাজাপালং ইউনিয়নের মেম্বার প্রার্থী সালাহ্ উদ্দিন, পালংখালী ইউনিয়নের মেম্বার প্রার্থী বক্তার আহমদ, নুরুল আবছারসহ অসংখ্যা প্রার্থীরা শত শত জনগণ নিয়ে বিশাল গাড়ী বহন নিয়ে শো-ডাউনের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে।

অন্যদিকে একক প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ঢাকা থেকে নিজ এলাকায় আসার সময় ব্যাপক শো-ডাউন করেছে। এর মধ্যে গত শনিবার হলদিয়াপালংয়ের আওয়ামী লীগ প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহ আলম বিশাল গাড়ী বহন নিয়ে এলাকায় শো-ডাউন করেছে। এছাড়াও রোববার রত্নাপালং ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুল হুদা, পালংখালী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহদত হোসেন জুয়েল, শত শত গাড়ী নিয়ে ব্যাপক শো-ডাউন করেন।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ না হওয়া পর্যন্ত কোন প্রকার গাড়ী বহর নিয়ে শো-ডাউন করা যাবে না। এ ছাড়াও মনোনয়ন পত্র দাখিল করার সময় কোন অবস্থাতে লোক সমাগন করতে পারবে না প্রার্থীরা। কেউ করে থাকলে নির্বাচন আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে শাস্তির বিধান রয়েছে।

এদিকে সচেতন নাগরিক সমাজ অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসনের চুখের সামনে প্রার্থীরা একের পর এক আচরণ বিধি লংঙ্গন করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রহস্য জনক কারণে নিরব ভূমিকা পালন করছে। ফলে আসন্ন ইউপি নির্বাচন সুষ্ট ও নিরপক্ষ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন