উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নির্মাণ হচ্ছে ১০টি সড়ক

উখিয়া প্রতিনিধি:

রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় ১০টি সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ত্রাণবাহী গাড়ি যাতায়াত ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় দুর্গম এলাকায় নির্বিঘ্নে আনায়ন করার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর জরুরী ভিত্তিতে এ সড়ক গুলো বাস্তবায়ন করছে।

উখিয়া উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, সরকারের নির্দেশে এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এইচবিবি সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। তৎমধ্যে উখিয়ায় ৯টি টেকনাফে ১টি। সড়ক গুলো হচ্ছে কুতুপালং-মধুর ছড়া, বালুখালী, থাইংখালী, তাজুনিরমার খোলা, মাছকারিয়া, হাকিম পাড়া, কোনার পাড়া, পালংখালী ও টেকনাফের মুছনি।

উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল আলীম লিটন জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রাণবাহী গাড়ি দ্রুত ও সহজে যাতায়াত করার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জনস্বার্থে ইটের ব্রিক সলিন রাস্তা নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে এবং অবশিষ্ট কাজ আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে বলেও তিনি আশা করছেন।

কক্সবাজার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. হাসান আলী এ পার্বত্যনিউজকে জানান, জরুরী ভিত্তিতে রোহিঙ্গাদের জন্য এসব সড়ক বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

থাইংখালী তাজুনি মার খোলা অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্প নং- ৬ এর ত্রাণ কাজে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইফতেখার উদ্দিন আরফাত বলেছেন, পাহাড়ি এলাকায় রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে। সড়ক গুলো দ্রুত নির্মাণ করায় ত্রাণ কাজে নিয়োজিত গাড়ি চলাচল সহজ ও সার্বিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সহজ হয়েছে।

এদিকে গতকাল রোববার উখিয়ায় ৭টি অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৯টি এইচবিবি সড়ক নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিষ কুমার পাল।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী এস,এম শাহেদুল রহিম জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে জরুরী ভিত্তিতে সড়ক গুলো নির্মাণ হওয়ায় শরণার্থী ক্যাম্পে পরিদর্শনে আসা মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, বিদেশী কূটনৈতিক, রাষ্ট্রদূত, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, দাতা সংস্থার কান্ট্রি ডিরেক্টর ও উচ্চপদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তার বহরের গাড়ি সহজে যাতায়াত করার সুযোগ হয়েছে। শুধু তাই নয় রোহিঙ্গাদের চলাচল এবং স্থানীয় গ্রামবাসীদের চলাচলে এসব সড়ক কাজে আসছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন