উখিয়ায় আগুনে পুড়ে যাওয়া অসহায় পরিবারের মানবেতর জীবন, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা
উখিয়া প্রতিনিধি:
উখিয়ার দক্ষিণ মরিচ্যা গ্রামে আগুনে বসত বাড়ি পুড়ে যাওয়ায় একটি অসহায় পরিবার খোলা আকাশের নিচে মানবতার জীবন যাপন করছে। প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ালেও কেউ এগিয়ে আসেনি।
নিলু প্রভা বড়ুয়া নামক এক মহিলার বসতবাড়ি দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় মা ও স্কুল পড়ুয়া কন্যাকে ঘরে তালা লাগিয়ে আগুনে পুড়ে মারার অপচেষ্টা করা হয়। স্থানীয় জনগণ আগুনের লেলিহা দেখে ঘটনাস্থলে এসে তালা ভেঙ্গে মা-মেয়েকে উদ্ধার করে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৭ ডিসেম্বর গভীর রাতে।
উখিয়া থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায় উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ মরিচ্যাস্থ বেনুবণ বৌদ্ধ মন্দির সংলগ্ন গ্রামে বাবুল বড়ুয়া ড্রাইভারের স্ত্রী নীলু বড়ুয়া দীর্ঘ দিন ধরে স্কুল পড়ুয়া দুই ছেলে মেয়ে নিয়ে বসবাস করে আসছিল। সেমি পাকা টিন শেড ঘরে থাকত তারা। অসহায় ও নির্যাতনের শিকার নিলু বড়ুয়া (৫০) জানান, ঘটনার দিন দুপুরে প্রতিপক্ষ গংরা আমার বসত ভিটায় ঢুকে বাড়ি ভাংচুর সহ তান্ডবলীলা চালায়। একই দিন রাতে দরজায় তালা আটকিয়ে চালে কেরোসিন দিয়ে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন দেখেও জীবন বাচানোর জন্য বাড়ি থেকে আমার দুসন্তান ও আমি বের হওয়ার শত চেষ্টা করলেও দরজায় তালা দেওয়ার কারণে বের হতে পারছিলাম না। পরে গ্রামবাসীরা এগিয়ে এসে দরজা ভেঙ্গে আমাদেরকে উদ্ধার করে।
গ্রামবাসীরা জানান, জায়গাজমির বিরোধ নিয়ে শত্রুতামূলক এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি সংগঠিত হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তার আগেই আগুনে পুড়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকা ক্ষতিসাধন হয়। এ ব্যাপারে নিলু রানী বড়ুয়া বাদী হয়ে উখিয়া থানায় একই এলাকার মৃত রায়মোহন বড়ুয়ার ছেলে অমিত্য বড়ুয়া, বাবুল বড়ুয়া, হেমন্ত বড়ুয়া ও মৃত যোগেন্দ্র বড়ুয়ার ছেলে অনিল বড়ুয়া ও সানু বড়ুয়াকে বিবাদী করে এজাহার দায়ের করা হয়। বাদীনি অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার ৪ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত করেনি। বর্তমানে আগুনে পুড়ে যাওয়া পরিবারের সদস্যরা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে।