Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

উখিয়ার ইনানীতে অগ্নিকাণ্ডে ১০টি দোকান ভষ্মিভূত

উখিয়া প্রতিনিধি:

উখিয়ার ইনানী বটতলী স্টেশনে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১০টি দোকান পুড়ে ভষ্মিভূত হয়ে গেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড থেকে স্টেশনটি রক্ষা পায়।

শনিবার গভীর রাতে এ ঘটনাটি ঘটেছে। তবে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের ছোট ইনানী বটতলী স্টেশনের একটি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়। ওই অগ্নিকাণ্ডে মৌলভী আবুল মনজুরের মালিকানাধীন দু’টি দোকানসহ অন্তত ১০টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ম্যানেজার জানান, খবর পেয়ে দ্রুত দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ক্ষতিগ্রস্ত চা দোকানদার মোক্তার আহমদ বলেন, ফায়ার সার্ভিস পৌঁছার আগেই মার্কেটের সব কয়টি দোকান পুড়ে যায়। এতে অন্তত ১০ লাখ টাকার মত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়ীদের।

স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানান, শনিবার বিকেলে একই এলাকার হাবিব উল্লাহ ও তার ছেলে কয়েকজন লোক নিয়ে মার্কেটের সামনে একটি দোকানঘর তৈরি করতে গেলে মৌলভী মনজুরের সাথে তর্কবিতর্কে লিপ্ত হয়। মৌলভী মনজুরের দাবি তার মালিকানাধীন নিজস্ব জায়গার উপর জোরপূর্বক ভাবে তারা দোকান ঘর তৈরির চেষ্টা করছিল।

এদিকে মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। একে অপরকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করছেন।

জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী জানান, ওই মার্কেটের জায়গা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ ছিল। এ ঘটনার আসল রহস্য বের করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়াও ফায়দা নেওয়ার জন্য তৃতীয় পক্ষ এ ঘটনাটি করছে কি না তাও খতিয়ে দেখা দরকার।

ক্ষতিগ্রস্ত আবুল মনজুর অভিযোগ করে বলেন, আসল ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এবং আমাকে আর্থিক ভাবে হয়রানী করার কু-উদ্দেশ্যে কে বা কাহারা পরিকল্পিত ভাবে আগুন ধরিয়ে দিয়ে মার্কেটটি পুড়িয়ে দিয়েছে। ঘটনার আসল ক্লু বের করার জন্য দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন