ঈদ উপলক্ষে গ্রাহকদের উপচে পড়া ভিড় : টেকনাফ ইসলামী ব্যাংক থেকে এ মাসে ২০ কোটি টাকা রেমিটেন্স উত্তোলন

teknaf news & pic 27-7-14 (2)

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : 

আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে টেকনাফে ইসলামী ব্যাংকে প্রবাসী রেমিটেন্স উত্তোলনে গ্রাহকদের দীর্ঘলাইনের চিত্র দেখা গেছে। রোববার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত টেকনাফ উপজেলার অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকে গিয়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। টেকনাফের সোনালী ব্যাংক কিছু গ্রাহক সরকারী কাস্টম বিভাগের ভ্যাট ও জমি সংক্রান্ত রেজিস্ট্রি, চাকুরীর বেতনের  টাকা উত্তোলন করতে দিতে দেখা গেছে। তবে কৃষি ব্যাংকে নিয়মিত গ্রাহক ছাড়া তেমন কোন গ্রাহক দেখা মেলেনি।

এছাড়া জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকের একই অবস্থা। কিন্তু এবি ব্যাংক ও আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে কিছু কিছু গ্রাহক আসা যাওয়া করতে দেখা গেছে। শাহপরীরদ্বীপ থেকে ইসলামী ব্যাংকে প্রবাসী রেমিটেন্স নিতে আসা মিস্ত্রির পাড়ার শরীফ হোছন জানায়, অন্যান্য ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে ফরম পূরণ বাবদ ১০০ টাকা দিতে হয়। পিয়ন থেকে শুরু করে কোন কর্মকর্তা ঘুষের টাকা ছাড়া কথা বলে না।

যদি কেউ এ ঘুষের টাকা  দিতে অপারগতা প্রকাশ করে তখন ফরম নাই বলিয়া সাফ জবাব দেয়। নতুবা কোন পর্রামশ চাইলে উল্টো কথায় বকুনি/ঝাকনি শুনতে হয়। এসব ব্যাংকে ইন্টারনেট ব্যবস্থা তেমন উন্নত মানের নয়।  কিন্তু ইসলামী ব্যাংকে একটি মাত্র ১০টাকার রাজস্ব টিকেট নিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যামে  দ্রুত টাকা উত্তোলন করা যায়। এছাড়া  ব্যাংকের কর্মকর্তা -কর্মচারীদের আচার ব্যবহার খুবই নম্র ও ভদ্র।

এ প্রসঙ্গে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক শাহজাহান মনির জানান- এ বছরে প্রবাসী কর্তৃক পাঠানো প্রায় ১৪০কোটি গ্রাহকগণ উত্তোলন করেছেন । তবে এ রমজান মাসে  ২০ কোটি টাকা বৈদেশিক রেমিটেন্স উত্তোলন সরকার ও বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পেয়ে থাকে। প্রবাসীরা ওয়ের্স্টান ইউনিয়ন, মানি ট্রান্সফার মাধ্যমে বিদেশ থেকে টাকা পাঠালেও তার সিংহভাগ ইসলামী ব্যাংক প্রদান করে থাকে। মধ্যেপ্রাচ্য অবস্থানরত বাংলাদেশী প্রবাসীরা মালয়েশিয়া, দুবাই,কাতার, সৌদি আরব, ইয়ামেন ব্রুনাইসহ প্রায় অর্ধশত দেশ থেকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে থাকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কিছু কিছু প্রবাসী গ্রাহক ব্যাংকিং সিষ্টেম না বোঝার কারণে তাদের স্বজনদের মাঝে হুন্ডির মাধ্যামে টাকা পাঠিয়ে থাকে। যার ফলে গ্রাহকেরা যথাসময়ে টাকা যেমন পাইনা তেমনি হুন্ডি ব্যবসায়ীদের খপ্পরে পড়ে তাদের স্বজনদের মাঝে ধরিয়ে দিচ্ছে জাল টাকার নোট।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন