ইমামের বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
ইসলামের পাঁচটি ভিত্তির মধ্যে নামাজ অন্যতম। পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআন ও হাদীস শরীফে নামাজের গুরুত্ব ও নিয়ম কানুন উল্লেখ রয়েছে। শুদ্ধ ও নিয়ম মাফিক নামাজ আদায়ের জন্য ইমামের পেছনেই অধিকাংশ লোক নামাজ আদায় করেন। কিন্তু খাগড়াছড়ির দূর্গম লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় সে ইমামের বিরুদ্ধে উঠেছে নানা অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ। আর ইমামের অপসারণের দাবিতে গত আট মাস ধরে অন্য ইমামের নেতৃত্বে খোলা আকাশের নিচে নামাজ আদায় করছেন লক্ষ্মীছড়ির ময়ূরখীল সমুর পাড়া গ্রামের শতাধিক মুসল্লি।
শুক্রবার(৩ মার্চ) সরেজমিনে সমুর পাড়া গিয়ে দেখা যায়, সমুরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জুমার নামাজ আদায় করছেন গ্রামবাসী। পাশেই মসজিদ। কিন্তু ইমামের সাথে বিরোধের জেরেই ওই ইমামের পেছনে নামাজ আদায় করছেন না গ্রামবাসী। আর ইমামের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত মসজিদে না যাওয়ার কথা জানিয়েছেন মুসল্লিরা।
গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, রাঙামাটির তবলছড়ির বাসিন্দা ছৈয়দ তফাজ্জল হোসেন নামে একজন ঠিকাদার খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার সমুর পাড়া এলাকায় ৩৪ একর কৃষি জমি ও পাহাড় বন্দোবস্ত নেন। মৃত্যুর আগে ১৯৮১ সালের দিকে সেসব সম্পত্তি ওয়াকফ সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করেন। ওয়াকফ সম্পত্তির আয় দিয়ে মসজিদের যাবতীয় খরচ বহনের কথা উল্লেখ করেন।
শাহ জাহান নামে এক মুসল্লি জানান, গত ঈদুল ফিতরের আগের দিন আমরা বাপ দাদার কবর পরিষ্কার করতে গেলে মসজিদের ইমাম বশির মিয়া বাধা দেন। এর প্রতিবাদ করায় তিনি আমাদের বিরুদ্ধে গাছ কাটার মিথ্যা অভিযোগ করেন লক্ষ্মীছড়ি থানায়। পরবর্তীতে পুলিশ তদন্ত করে তার সত্যতা পায়নি। কবর স্থানের জায়গা সবজি খেত, মিথ্যাবাদী ও এলাকায় সুদের ব্যবসা চালু করায় এলাকাবাসী তার পেছনে নামাজ পড়তে অস্বীকৃতি জানান।
মতিউর রহমান আরেকজন জানান, ইমাম সাহেব এলাকায় নানা রকম অসামাজিক কার্যকলাপ চালু করেছেন। ইসলামে অসমর্থনযোগ্য যাদু তোনার কাজ করেন তিনি। গ্রামবাসী এর প্রমাণ পাওয়ায় তাকে ইমাম হিসেবে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে। তাই গ্রামবাসী ওই মসজিদে নামাজ আদায় ও ছেলেমেয়েদের মকতবে পাঠানো থেকে বিরত রয়েছেন। তাকে অপসারণ করে নতুন ইমাম না দেয়া পর্যন্ত আমরা মসজিদে যাব না।
অভিযোগের কথা অস্বীকার করে ইমাম বশির মিয়া বলেন, ওয়াকফ মোতাবেক মোতায়াল্লি নিযুক্ত ম্যানেজার কাম ইমাম হওয়ায় তাকে সম্পত্তির দেখা শুনা করতে হয়। কিন্তু শাহজাহান, মঞ্জু সওদাগর, হাশেম নামে কয়েকজন সম্পত্তি বেহাত করার চেষ্টা করায় তিনি বাধা দিয়েছিলেন। সে থেকে তারা লোকজনকে ভুল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।