রাত পোহালে মানিকছড়িতে ইউপি নির্বাচন: সকল প্রস্তুতি শেষ

 

মানিকছড়ি প্রতিনিধি:

মানিকছড়ি উপজেলার ৩নং যোগ্যাছোলা ইউনিয়ন পরিষদের স্থগিত নির্বাচন ২৫ জুলাই। প্রার্থীদের প্রচারণা শেষে নির্বাচনী সকল সরঞ্জামাদি নিয়ে কেন্দ্রে গেছেন প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্র নিরাপত্তায় ১৫জন আনসার সদস্য ও ৮জন পুলিশ সদস্যের  পাশাপাশি পুলিশ ও বিজিবি’র টহল ছাড়াও ১জন জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট ও ৪জন নির্বাহী ম্যাজিট্রেট সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।

মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে একযোগে নির্বাচনের তফশীল ঘোষণা হলেও সীমানা বিরোধ সংক্রান্ত জনৈক ব্যক্তির মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে প্রচারণার শেষ মূহুর্তে এসে উপজেলার ৩নং যোগ্যাছোলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পর মামলার নিষ্পত্তি হওয়ায় গত ১০ জুন নির্বাচনী তফশীল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন।

ফলে এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩জন  সাধারণ সদস্য পদে ২৫ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৮জন লড়ছেন। এছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ইতোমধ্যে ৩জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এখানে মোট ভোটার পুরুষ ৩২৯০জন, মহিলা ৩১৯১জন। বাঙ্গালী ভোট-৬৪৮১, উপজাতি ভোট ২৩৬২, কেন্দ্র ৯টি।

২৪ জুলাই সকাল থেকে প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারগণ তাদের সঙ্গীয় নিরাপত্তা, ভোটার সরঞ্জামাদি নিয়ে কেন্দ্রে রওয়ানা হয়েছেন।

এদিকে নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশন ব্যাপক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি কেন্দ্র ১৫জন আনসার সদস্য ও ৮জন পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি পুলিশ ও বিজিবি’র টহল ছাড়াও ১জন জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট ও ৪জন নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ভ্রাম্যমান হিসেবে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।

ঘোষিত তফশীল অনুযায়ী ২৫ জুলাই নির্বাচন। এ নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন প্রার্থী না হওয়ায় সেখানকার ভোটের হিসাব-নিকাশ নিয়ে সাধারণ ভোটাররা মুখ খুলছেনা। দলীয় প্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ক্যজয়রী মহাজন (নৌকা) এর পক্ষে জেলা-উপজেলার আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন। ফলে সরকার দলীয় প্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ক্যজয়রী মহাজন প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছেন। তিনি জন্মসূত্রে স্থানীয় হলেও দীর্ঘ চাকুরী জীবন শেষে জনপদে এসে এ প্রথম সরাসরি জনসেবায় সম্পৃক্ত হতে ভোট যুদ্ধে সামিল হয়েছেন।

অপরদিকে দেশের প্রধান সাবেক বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপি’র দলীয় প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে মাঠে রয়েছেন উদীয়মান যুব নেতা (ব্যবসায়ী) মো. জামাল উদ্দীন।

এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠ চষে বেড়াচ্ছে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এবং বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মো. আবদুল মজিদ ভূঁইয়া ওরফে মজিদ মোল্লার জামাতা এক সময়কার ত্যাগী বিএনপি নেতা বর্তমান পল্লী চিকিৎসক মো. আলমাছ মিয়া (আনারস)। জনপদে তার পদচারণা ও পরিচিতি রয়েছে আগ থেকেই।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন