ইউপিডিএ‘র প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা-ভাঙচুরের নিন্দা ও প্রতিবাদ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোন ছড়া ইউনিয়নের মুনিগ্রামে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খাগড়াছড়ি আসনের ইউপিডিএফ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী (সিংহ প্রতীক) নুতন কুমার চাকমার সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলার অভিযোগে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউপিডিএফ।

এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত জেএসএস (সংস্কারবাদী)দের দায়ী করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।

রবিবার(২৩ ডিসেম্বর)ইউপিডিএফ এর প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফ-এর খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত প্রধান সংগঠক উজ্জ্বল স্মৃতি চাকমা এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে তিনি অভিযোগ করে বলেন,রবিবার(২৩ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে দীপন আলো ও বিধান চাকমার নেতৃত্বে ভাইবোনছড়া ইউপি’র দেওয়ান পাড়া থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত জেএসএস (সংস্কারবাদী)-এর ১০-১২ জনের একটি সশস্ত্র দল মুনিগ্রামে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ও ইউপিডিএফ সংগঠক অনি বিকাশ চাকমা, পল্লবজ্যোতি চাকমা এবং ঐ গ্রামের মুরুব্বীমঙ্গল চাকমার বাড়িতে হামলা চালায় এবং বাড়ি ও বাড়ির জিনিসপত্র ভেঙে দেয়। এর মধ্যে অনি বিকাশ চাকমার বাড়ি ও বাড়ির সকল জিনিসপত্র সম্পূর্ণ ভেঙে চুরমার করে দেয়  তারা। তারা মঙ্গল চাকমার বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর ও তার কলেজ পড়ুয়া ছেলে দেবাশীষ চাকমার বইপত্র পুড়িয়ে দেয়। এছাড়াও তারা অনি বিকাশের পিতা তড়িৎ কান্তি চাকমা(৬৭)-এর বাড়ির জিনিসপত্রও(হাড়ি-পাতিল) ভেঙে তছনছ করে দেয়।

এছাড়াও সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র অবস্থায় প্রকাশ্যে খাগড়াছড়ি-পানছড়ি রাস্তায় বের হয়ে মুনিগ্রাম এলাকায় টাঙানো স্বতন্ত্র প্রার্থীর সিংহ প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে পুড়িয়ে দিয়েছে এবং ‘নৌকা মার্কায় ভোট না দিলে অসুবিধা হবে’ বলে লোকজনকে হুমকি দিয়েছে।

আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ইন্ধনে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা এ হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছে অভিযোগ করে ইউপিডিএফ নেতা বলেন, এলাকার চিহ্নিত খুনী-সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ আসন্ন নির্বাচনে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা করছে এবং মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে চাচ্ছে।

বিবৃতিতে ইউপিডিএফ নেতা অবিলম্বে উক্ত হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার এবং সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সুনিশ্চিত করার জন্য প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন