ইউএনও নেই আড়াই মাস, স্থবির লক্ষ্মীছড়ির প্রশাসনিক ও  উন্নয়ন কর্মকাণ্ড

laxichhari2

নিজস্ব প্রতিবেদক:

খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শওকত ওসমানকে বদলী করার প্রায় ৩ মাস পেরিয়ে গেছে। উপজেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে আর কাউকে পোষ্টং না দেয়ায় উন্নয়ন কার্যক্রম এবং প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে নেমে এসেছে চরম স্থবিরতা।

খবরে প্রকাশ, গত ২১ জুলাই লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শওকত ওসমান ব্রাম্মনবাড়ীয়া জেলার বাঞ্চারামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে সরকারি এক আদেশে বদলী করা হয়। এরপর মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার যুথিকা সরকার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার ইউএনও হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বে পালন করে আসছেন। এভাবে অতিবাহিত হচ্ছে প্রায় আড়াইটি মাস। এদিকে মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার যুথিকা সরকারকেও বদলীর আদেশ দেয়া হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ।

সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আবু হাসান সিদ্দিককে গত ১৭ জুলাই লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করার জন্য সরকারী এক আদেশ দেয়া হলেও পরবর্তিতে তিনি লক্ষ্মীছড়িতে যোগদান না করায় অন্যত্র বদলী করার পর আর কাউকে এ উপজেলায় পোষ্টিং দেয়ার খবর পাওয়া যায় নি।

এত দীর্ঘ সময় উপজেলার নির্বাহী অফিসারের পদটি শুন্য থাকায় চলমান নানা কার্যক্রমে নেমে এসছে স্থবিরতা। প্রতিনিয়ত দুর-দুরান্ত থেকে নানা প্রয়োজনে আসা সাধারণ জনগণকে ইউএনও অফিসে আসলেও ফিরে যেতে হয় কোনো সমাধান ছাড়াই। বিশেষ করে ভূমি, স্থানীয় নানা সমস্যা, সভা-সমাবেশ, আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক, সরকারের বিভিন্ন জাতীয় কর্মসূচি, উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ১৭টি সরকারি বিভাগ, জনপ্রতিনিধি, হেডম্যান-কার্বারী, গুচ্ছগ্রামের রেশন, ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরনার্থীদর রেশন, ভিজিএফ, ভিজিডিসহ নানা কার্যক্রম সম্পাদন করতে হয় একজন ইউএনও’কে।

লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ প্রসঙ্গে বলেন, ইউএনও না থাকার কারণে অনেক সমস্যা হচ্ছে। আমি জেলা প্রশাসককে জানিয়েছি। অতি দ্রুত একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পোষ্টং দেয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে উল্লেখ করে সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর দৃষ্টি আকর্ষন করেন।

এমতাবস্থায় পিছিয়ে পড়া এ উপজেলায় চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের গতিশীলতা আনতে লক্ষ্মীছড়িতে ইউএনও পোষ্টিং দেয়া জরুরী হয়ে পড়েছে। জনগুরুত্ব বিবেচনা করে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন এমনটাই আশাবাদী লক্ষ্মীছড়িবাসী।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন