আশরাফুলের ভক্তদের স্বপ্ন পুরনের পালা
ক্রীড়া ডেস্ক:
তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আবারো জাতীয় দলে ফেরার লক্ষে অনুশীলন শুরু করেছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। তারা নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে এ বছরের ১৬ আগস্ট। গত ২০১৩ সালে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিলো।
শাস্তির এই মেয়াদ শেষ হবে ২০১৬ সালের ১৬ আগস্ট। এখনো কয়েকটি মাস বাকি থাকলেও গতকাল অনুশীলন করতে মাঠে যান তিনি। ফেসবুকে আশরাফুল গতকাল সকালে লিখেছেন, ‘অনেক দিন পর অনুশীলনে যাচ্ছি। তাই আজকের সকালটা অন্য রকম সুন্দর আমার জন্য। দারুণ লাগছে।’
জাতীয় দলের সাবেক লেগ স্পিনার ওয়াহিদুল গনি আশরাফুলের এই স্বপ্ন যাত্রায় সব সময়ে ছায়ার মতো ছিলেন। এ ব্যপারে পয়লা বৈশাখের দিন আশরাফুল বলেন, ‘গনি স্যার কিছুণ আগে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফোনে বললেন, অনেক দিন খেলা থেকে দূরে আছিস, তাই এখানে কিছু দিন প্র্যাকটিস করে যা। আমিও তোকে পর্যবেণ করতে পারব। ক্রিকেটের বেসিকটা দূরে থাকায় ভুলে গেছিস কি না। কিছু ব্যাপারে সাহায্যও করতে পারব। আর তুই এখানে এলে যে বাচ্চারা আছে তারাও প্রেরণা পাবে।’ আশরাফুল চেয়েছিলেন এই গরমে সুইজারল্যান্ড থেকে ঘুরে আসতে। কিন্তু অঙ্কুর ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ওয়াহিদুল গনির প্রস্তাবে আর না করতে পারেননি। সুইজারল্যান্ড যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করে ছুটেছেন মাঠে।
অনেক দিন ধরে হাতের আঙুলের ইনজুরিতে ভুগছিলেন আশরাফুল। কিন্তু ইনজুরি কাটিয়ে সেরে উঠেছেন তিনি। সেই সুখবরও দিলেন আশরাফুল, ‘সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর অসংখ্য মেসেজের ভিড়ে ডাক্তারের পাঠানো মেসেজটি এই নববর্ষের আনন্দকে বাড়িয়ে দিলো। মেসেজে ডাক্তার লিখেছেন, ‘মিস্টার আশরাফুল, আপনার হাতের আঙুলের ইনজুরি সেরে গেছে। যে আঙুলের হাড়ে চিড় ধরেছিল, সেটি ঠিক হয়েছে। আমরা রিপোর্ট চেক করলাম। আপনি এখন নিশ্চিন্ত মনে প্র্যাকটিস করতে পারেন। শুভকামনা।’
তবে গত ৩ ফেব্রুয়ারি একবার দেশের মাটিতে ব্যাট হাতে নামেন আশরাফুল। ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক কোনো আসরে নয়। করপোরেট ক্রিকেট টুর্নামেন্টে বেক্সিমকোর হয়ে খেলেন তিনি। শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে ওই টুর্নামেন্টে আশরাফুলের দল হারলেও ব্যাট হাতে মাঠে নেমেছেন এটিই বড় কথা।
আশরাফুলকে ভক্তরা ভালোবাসেন তার অসাধারণ ব্যাটিং নৈপুণ্যের কারণে। টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান হিসেবেই নয় শুধু, কার্ডিফে অস্ট্রেলিয়ার মতো পরাশক্তিকে হারানোর মূল কারিগর ছিলেন তিনি। করেছিলেন অসাধারণ সেঞ্চুরি। ২০০৭ বিশ্বকাপে দণি আফ্রিকার বিপে জয়ের নির্মাতাও ছিলেন তিনি। সেই আশরাফুলই ভাগ্যের ফেরে পড়ে ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত। আশরাফুল বললেন, ‘অবশ্যই আমি স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলব। যেহেতু আমার বয়স মাত্র ৩২ বছর। আমি বিশ্বাস করি, ব্যাটসম্যানরা ফিট থাকলে, অনেক বছর খেলা যায়। আমি বিশ্বাস করি, সুস্থ্য থাকলে দেশকে আরো বেশ কয়েক বছর সার্ভিস দিতে পারব।’