আল্টিমেটামের ভয়ে সরকার ভীত নয়- রাঙামাটিতে বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে ফিরোজা বেগম চিনু এমপি

bbc

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপের তৃতীয় সিরিজের ছিয়ানব্বইতম পর্ব শনিবার বিকালে রাঙামাটির ডিয়ার পার্ক পর্যটন মোটেল এ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য ও রাঙামাটি মহিলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙামাটি জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক ও রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ভুট্টো, চাকমা রাজা এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী দেবাশীষ রায় এবং বেসরকারি সংগঠন গ্রিন হিলের চেয়ারপারসন টুকু তালুকদার।

অনুষ্ঠানের প্রথম প্রশ্ন ছিলো-পার্বত্য শান্তি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়া না হলে পহেলা মে থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান। সরকারের এখন কি করা উচিত?

উত্তরে রাজা দেবাশীষ রায় বলেন, মাঝে মাঝে হতাশ হই আমরা, সরকার যে বাস্তবায়নের কথা বলে তাতো গাণিতিক হারে বাস্তবায়ন। চুক্তিতে যা বাস্তবায়ন করার কথা ছিলো যেমন, বেসরকারিকরণ, পুর্ণবাসন, ভূমি বন্টন, আঞ্চলিক ক্ষমতা হস্তান্তর এসবের কিছুই হয়নি। সরকারতো বাস্তবায়ন করার জন্যই চুক্তি করেছে। বিরোধ তো আছেই। বিরোধের কারণে চুক্তি বাস্তবায়িত হচ্ছে না এটা একটা অজুহাত, কারণ না। এখানে সহিংস ঘটনা ঘটলে নিরাপত্তা বাহিনীও নিরপেক্ষভাবে কাজ করে না।

সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ভুট্টো বলেন, এটা সরকারের দায়িত্ব। আমাদের ব্যক্তিগত কিছু করার নেই। আলটিমেটাম তো তিনি আগেও দিতে পারতেন। জেএসএস না জেনে কেন অস্ত্র জমা দিয়েছিলো? এ চুক্তিতে সবচেয়ে বঞ্চিত করা হয়েছে বাঙালিদের।

টুকু তালুকদার বলেন, সরকার আন্তরিক হয়েই চুক্তি করেছিলো। আর বাস্তবায়ন করতে পারবে বলেই তো সরকার চুক্তি করেছিলো। এখন কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, সেটা নিয়ে বসা দরকার।

ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, আল্টিমেটামের ভয়ে সরকার ভীত নয়। পথেই মোকাবিলা করবো আমরা। আশপাশের দেশগুলোতে এমন অনেক চুক্তি বাস্তবায়ন করা হয়নি।

২য় প্রশ্ন ছিলো-একটি স্পর্শকাতর এলাকা হওয়ার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে সংঘটিত প্রতিটি সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় কি বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা উচিত?

উত্তরে টুকু তালুকদার বলেন, অবশ্যই উচিত। কারণ আমাদের বিচার ব্যবস্থার উপরে সাধারণ মানুষের আস্থা থাকেনা। বেশীরভাগ মামলারই আসামীরা কিন্তু ধরা পড়ছে না। কিন্তু সম্প্রতি ঘটা ঘটনাটির কিন্তু বিচার হয়েছে।

রাজা দেবাশীষ রায় বলেন, যে ভাবেই হোক বিচার নিরপেক্ষ হতে হবে। এর সবকিছু জনসমক্ষে আসতে হবে। পাহাড়ী বাঙালির মিশ্রণে নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করা দরকার। কেউ কেউ সরকারকে কু পরামর্শ দিচ্ছে এ চুক্তি বাস্তবায়ন না করার জন্য। নারী ধর্ষনের মতো ঘটনাগুলো বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেখতে হবে।

ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিত এবং এর ফলাফল জনসমুক্ষেও আসা উচিত। দোষী সাব্যস্তদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা দরকার। এখন একটা ফাঁক তৈরী হচ্ছে। পাহাড়ী নারীর আগে কিন্তু বাঙালী নারীও ধর্ষিত হয়েছে। সব নারীই নারী।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন