আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দু চাকমার হত্যাকাণ্ডের তিন দিনের মাথায় ১২ নেতা-কর্মীর পদত্যাগ

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:

জেলার জুরাছড়ি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দু চাকমার হত্যাকাণ্ডের তিন দিনের মাথায় ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যার কারণে দলের সকল কার্যক্রম থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের ১২ নেতা-কর্মী।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পদত্যাগকৃতরা হচ্ছেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি কালাধন চাকমা, যুগ্ম সম্পাদক পব্বন বিকাশ চাকমা, সহ-সভাপতি অনিল কুমার চাকমা, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক দীপংকর কার্বারী, যুব লীগের অর্থ সম্পাদক উত্তম কুমার চাকমা, মহিলা লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক টুনি চাকমা, জুরাছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হৃদয় রঞ্জন চাকমা, কৃষক লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সনদ কুমার চাকমা, কার্যকরী কমিটির সদস্য ফুলেশ্বর চাকমা, ছাত্র লীগের যুগ্ম সম্পাদক রপ্তদীপ চাকমা (রকি) সহ নব্য যোগদানকৃত সাবেক দুমদুম্যা ইউপি চেয়ারম্যান রাজিয়া চাকমা, বনযোগীছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য কৃষ্ণা চাকমা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে দলের নিয়ম অনুসারে পদত্যাগপত্র সভাপতির কাছে পাঠানো হয়েছে বলে তারা জানান।

এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যার কারণে সকল দলীয় কার্যক্রম থেকে সেচ্চায় অব্যহতি নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে তারা দলের নিয়ম অনুসারে পদত্যাগপত্র সভাপতির কাছে পাঠানো হয়েছে বলে তাদের দাবি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবর্তক চাকমা দলীয় কর্মীর পদত্যাগ বিষয়ে গুঞ্জন শুনেছি। তবে এখনো পর্যন্ত কোন পদত্যাগপত্র আমার কাছে আসেনি।

যুব লীগের সভাপতি সুমতি বিকাশ দেওয়ান বলেন, যুব লীগের কোন কর্মী পদত্যাগ করেছে বলে আমার জানা নেই। তবে চিঠি পেলে বলতে পারব কে বা কারা বা কেন পদত্যাগ করছে।

মহিলা লীগের সভানেত্রী মিতা চাকমাকে বাব বার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।

ছাত্র লীগের সভাপতি রিকো চাকমা জানান, যুগ্ম সম্পাদক রকি চাকমা বহু আগে থেকে একজন নিক্রিয় কর্মী। তবে তার এখনো কোন পদত্যাগপত্র হাতে পাইনি।

কৃষক লীগের সভাপতি কেতন চাকমা বলেন, এ বিষয়ে আমাকে কেউ কোন কথা কিংবা পদত্যাগপত্র পাঠায়নি।

এদিকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দু চাকমার হত্যাকাণ্ডের এসআই মো. মাইন উদ্দিন বাদী হয়ে ৯জন নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫-২০জন দেখিয়ে বৃহস্পতিবার মামলা হয়েছে। মামলায় ১৪৩, ১৪৮, ৩২৪, ৩২৬, ৩০৭, ৩০২, ৩৪ ধারা উল্লেখ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন থানা অফিসার ইনর্চাজ মো. আব্দুল বাছেদ। তদন্তের স্বার্থে আসামিদের নাম প্রকাশের অনিচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জুরাছড়ি ইউনিয়নের মগবাজার স্থলে একদল জলপাই রঙে পোশাক পরিহিত একদল দুর্বৃত্ত ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করে অরবিন্দু চাকমাকে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন