আ’লীগের দখলে রাজপথ, নিরবে ছিল বিএনপি

পেকুয়া প্রতিনিধি:

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে পেকুয়ায় নাশকতা ঠেকাতে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যুবলীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলেমর নেতৃত্বে দিনব্যাপী অবস্থান করেছে তৃণমূল আ’লীগের নেতাকর্মীরা। ফলে নিরব ভূমিকা পালন করে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার(৮ফেব্রুয়ারি) সম্ভাব্য নাশকতা ঠেকাতে পেকুয়া উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ জাহাঙ্গীর আলেমর নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সকাল-সন্ধ্যা এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। উপেজলার চৌমহুনী ও পেকুয়া বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যেকটি পয়েন্টে প্রশাসনের সহযোগিতায় নেতাকর্মীদের এ অবস্থানের ফলে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজপথে নামতে পারেনি।

পেকুয়া উপজেলা বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, পেকুয়ার আইনশৃঙ্খলা ও জনগনের জানমাল রক্ষায় কোন ধরণের নৈরাজ্য তারা সৃষ্টি করবে না। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের সুনিদিষ্ট নির্দেশনা ছিল।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় নির্দেশ অনুযায়ী প্রশাসনকে সহযোগিতায় নেতাকর্মীরা বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। বিশেষ করে পেকুয়া চৌমুহনী ও পেকুয়া বাজারের পুরো নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে রয়েছে। বিএনপি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে তা শক্ত হাতে মোকাবেলা করা হতো।

বৃহস্পতিবার ভোর থেকে যুবলীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে বিশাল মোটর শোডাউন উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেওয়ায় দিনব্যাপী পেকুয়ার রাজপথে শক্তিশালী অবস্থানে ছিল আওয়ামী লীগ।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব সালাউদ্দিন আহমদের নির্বাচনী এলাকায় হওয়ায় দিনব্যাপী উৎকন্ঠা ও উদ্বেগ ছিল পুরো উপজেলায়। তার নির্দেশনায় যেকোন মুহুর্তে কঠোর হতে পারতো বিএনপি। সকল উৎকন্ঠার অবসান ঘটিয়ে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া পেকুয়ায় অতিবাহিত হল খালেদা জিয়ার রায় পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়।

উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে মটর সাইকেল শোভাযাত্রাসহ প্রতিরোধ সভা করা হয়। উপজেলা সদর চৌমহুনী চত্তর, মগনামা লঞ্চঘাট পয়েন্ট, বারবাকিয়ার বারাইয়্যাকাটা মাদ্রাসা পয়েন্ট, টইটংয়ের ধনিয়াকাটা ষ্টেশন পয়েন্টে এসব প্রতিরোধ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আ’লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক যুগ্ন-সম্পাদক শহিদুল্লাহ বিএ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম চৌধুরী বাবুল, আ’লীগ নেতা মফিজুর রহমান, জাহাঙ্গীর সত্তার, কামাল হোসেন, পেকুয়া সদর আ’লীগ সভাপতি আজম খান, সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন, মো: আমজাদ, নাসির উদ্দিন, দিদারুল ইসলাম ও মো: আজুসহ প্রায় ৬শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিরোধ সভায় ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে যদি নাশকতা করার চেষ্টা করা হয় তা প্রতিরোধ করার ঘোষণা ও দলীয় নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মাঠ দখল রাখার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান জাহাঙ্গীর আলম।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন