Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

দেশের সর্বোচ্চ আলীকদম-থানচি সড়ক চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মী

আলীকদম-থানচি সড়ক

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

বান্দরবানের থানছি-আলীকদম সড়কটি ঘিরে তৎপর একাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ। খুন, অপহরণ, চাদাঁবাজিসহ এমন কোনও কাজ নেই তারা করছে না। যার ফলে এই সড়ক দিয়ে ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করে। যে কারণে পর্যটকরা ওই সড়ক দিয়ে যেতে হয় এমন পর্যটন স্পটগুলোতে যাওয়া কমিয়ে দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সমুদ্র সমতল থেকে আড়াই হাজার ফুট উঁচু থানছি- আলীকদম সড়কটির কাজ শুরু করা হয়। সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন ১২০ কোটি টাকা ব্যায়ে সড়কটি নির্মাণ করে। গত বছরের ১৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সড়কটি উদ্ভোধন করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেন। এরপর থেকে মূলত ওই সড়ক দিয়ে বাড়তে থাকে পর্যটকদের আনাগোনা। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ার পর ম্রো ন্যাশনাল পার্টি (এমএনপি), পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের একটি গ্রুপ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বাড়িয়ে দিয়েছে।

অন্যমিডিয়া

শনিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরেও ওই সড়ক দিয়ে ২৮ কিলোমিটার এলাকায় গরু কিনতে যাওয়ার সময় সাহাবুদ্দিন, আবু বক্কর ও আবছার আলী নামে তিনজনকে অপহরণ করা হয়। তাদের মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে সন্ত্রাসীরা অপহরণ করেছে বলে জানায় এলাকাবাসী।

থানছি থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, এমএনপি নয়, অপহরণের ঘটনাটি ত্রিপুরাদের একটি গ্রুপ করেছে বলে আমরা জেনেছি।

আরও জানা গেছে, গত ৩১ ডিসেম্বর একই সড়কে একটি দেশীয় এলজি ও চিং লং ম্রোসহ দুই সন্ত্রাসীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা জেলার থানছি উপজেলার বাসিন্দা। বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রতিপক্ষের গুলিতে এমএনপির দুই সন্ত্রাসী নিহত হয়।

১ জানুয়ারি কাঠ শ্রমিক বোরহান উদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ, তাকে অপহরণ করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এর একদিন পর সড়কটির ১৩ কিলোমিটার এলাকা থেকে ম্রো ন্যাশনাল পার্টির (এমএনপি) এক সদস্যের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এমএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয় বলে ধারনা করছে পুলিশ।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সিং ইয়ং ম্রো বলেন, আমরা শুনেছি এখানে সন্ত্রাসীরা তৎপর, কিন্তু কোন গ্রুপ তৎপর তা জানি না।

দেশের সবচেয়ে উচুঁ সড়ক হওয়ার কারণে সড়কটি পাশের মনোরম পর্যটন স্পট ডিম পাহাড় দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা ছুটে আসে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে খুন, অপহরণ বেড়ে যাওয়ায় পর্যটক আসা অনেক কমে গেছে।

এই ব্যাপারে ঢাকা থেকে আসা পর্যটক আলমগীর হোসেন জানান, উচুঁ সড়ক দেখার ইচ্ছে ছিল কিন্তু নিরাপত্তার কারণে সড়কটি না দেখেই চলে যাচ্ছি।

গত বছরের ৫ নভেম্বর বান্দরবানের আলীকদমের দুর্গম কুরুকপাতায় শসস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ এমএনপি’র ৭৯ জন সদস্য ৫৫টি অস্ত্রসহ আত্মসমর্পন করেন। ২০১১ সালে ম্রো উপজাতি যুবকদের নিয়ে এমএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশীয় ও আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আলীকদমের পোয়া মুহুরী ও কুরুকপাতা এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে খুন, অপহরণ ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করে। পরে জেলার থানছিতেও তারা তাদের কার্যক্রম চালায়।

২০১২ সালে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে এমএনপির ৩৭ জনেরও বেশি সদস্য গ্রেফতার হয়।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দীলিপ কুমার বণিক বলেন, এই সড়কে অপহরণের ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা, সেখানে পুলিশ, বিজিবি তৎপর আছে, পর্যটকদের নিরাপত্তার কোনও সমস্যা হবে না।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন