আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার বিভাগের তদন্তের নির্দেশ
আলীকদম প্রতিনিধি:
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল কালামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দায়ের করা একটি অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের স্থানীয় সরকার পরিচালক। যার স্মারক নং- ২১১ তারিখ- ২৮.০২.২০১৭ খ্রিঃ।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকারের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) দীপক চক্রবর্তী স্বাক্ষরিত পত্রে সরেজমিন তদন্ত পূর্বক মতামতসহ প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বান্দরবান জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করা হয়েছে। সোমবার রাতে এ সংক্রান্ত পত্রের অনুলিপি অভিযোগকারীদের কাছে পাঠানো হয়।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ১০ ও ৩০ ধারায় বিচারাধীন একটি মামলার আসামী আলীকদম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল কালাম। বিচারাধীন মামলার আসামী হিসেবে ‘চেয়ারম্যান’ পদে বহাল থাকার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে গত ৭ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় পাঁচ ব্যক্তি। আবেদনপত্রে চেয়ারম্যান পদ থেকে আবুল কালামকে অব্যাহতি দিয়ে এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা ও সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা ত্বরান্বিত করার দাবি করা হয়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর দাখিল করা অভিযোগটির অনুলিপি পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, অতিরিক্ত সচিব, জেলা ও মাঠ প্রশাসন অনুবিভাগ, উপসচিব (মাঠ প্রশাসন), উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার, বান্দরবান ও আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দেওয়া হয়।
অভিযোগপত্রে আলীকদম উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অংশেথোয়াই মারমা, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম. কফিল উদ্দিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি উইলিয়া মারমা, প্রেসক্লাব সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমদ ও আলীকদম ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল হামিদ স্বাক্ষর করেন।
প্রসঙ্গত, তার বিরুদ্ধে ২০১০ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একই পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শিরিনা আক্তার বাদী হয়ে বিচারক, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল, বান্দরবান পার্বত্য জেলার আদালতে ২০১০ সালে ৯জুন একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন অবস্থায় আছে।