আলীকদমে ওএমএস’র চাল সিদ্ধ হওয়ায় ক্রেতা সংকট

 

আলীকদম প্রতিনিধি :

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় ওএমএস এর চাল সিদ্ধ হওয়ায় ক্রেতা সংকট চলছে। সম্প্রতি খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলাররা ন্যায্য মূল্যের চাল তুলেছেন। কিন্তু ওএমএস দোকানগুলোতে ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা গেছে। পাহাড়ি এ উপজেলায় মানুষ সিদ্ধ চাল খেতে অভ্যস্ত নয়। তাই কম দামেও চাল কিনতে চাচ্ছে না কেউ।

জানা গেছে, গত ১৫ এপ্রিল থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের ন্যায্য মূল্যের চালের দোকানে সিদ্ধ চাল বিক্রি হচ্ছে। এখানকার মানুষ সিদ্ধ চাল খেতে অভ্যস্ত না হওয়ায় বেশী দাম দিয়ে হলেও সাধারণ দোকান থেকে চাল কিনে বাড়ি ফিরছেন তারা। এলাকার লোকজন বলছেন, ৯৫ শতাংশের বেশী মানুষ আতপ চাল খেতে অভ্যস্ত। তাই কম দামে চাল পেলেও ক্রেতারা সরকারের ন্যায্য মূলের চাল কিনতে চাচ্ছেন না।

ভোক্তারা বলছেন, সিদ্ধ চালের পরিবর্তে আতপ চাল বিক্রি করা হলে দরিদ্র শ্রেণির মানুষ সরকারের এ কর্মসূচির সফলতা পেত। তারা বিষয়টি নতুন করে ভেবে দেখার দাবী জানিয়েছে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এমরানূল হক বলেন, সারাদেশে আতপ চালের সংকট চলছে। তবে বোরো মৌসুমের শেষের দিকে এ সংকট থাকবে না।

স্থানীয় বাস টার্মিনাল বাজারের ওএমএস’র ডিলার আব্দুল মোবিন বলেছেন, প্রতিদিন যে পরিমাণ চাল বিক্রি করার কথা তার এক-তৃতীয়াংশও বিক্রি হয় না। সিদ্ধ চাল বলে ক্রেতা কম বলে জানান এই ডিলার।

খাদ্য বিভাগ বলছে, দেশব্যাপি আতপ চালের সংকট রয়েছে। এছাড়া উপজেলায় ভিজিডির জন্য প্রতি মাসে ৮২ মেট্রিক টনের বেশী আতপ চাল দরকার হয়। এ চাল সংগ্রহ করতেও হিমশিম খেতে হয় খাদ্য বিভাগকে। যার ফলে ওএমএস’র ডিলারদের আতপ চাল সরবরাহ করা যাচ্ছে না।

তারা জানান, উপজেলায় ৬ জন ডিলার নিয়োগ দিয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের খোলা বাজারের ন্যায্য মূল্যের (ওএমএস) চালের দোকান খোলার কথা থাকলেও সিদ্ধ চাল হওয়ায় একজন ডিলার ওএমএস এর চাল গ্রহণ করেনি। প্রতিজন ডিলারকে প্রতিদিন বিক্রির জন্য দেড় মেট্রিক টন করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়ে থাকে। বর্তমানে বাজারে চালের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় দরিদ্র শ্রেণির মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এসব মানুষের কথা বিবেচনা করে সরকার খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে ডিলার নিয়োগ দিয়ে চলতি মাসের ১৫ এপ্রিল থেকে ন্যায্য মূল্যের চালের দোকান খুলে দেয়। কিন্তু যাদের জন্য এ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে, সরকারের নীতিগত কারণে তারাই এর সুফল ভোগ করতে পারছে না।

আলীকদম ইউপি চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন বলেন, সরকারিভাবে খোলা বাজারে সিদ্ধ চাল বিক্রির নিয়মের কথা বলা রয়েছে। আতপ চাল বিক্রির সুযোগ নেই ডিলারদের।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন