আলীকদমের ৩ খুনের সাথে জড়িতরা পার পাবে না: প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর
আলীকদম প্রতিনিধি:
সন্ত্রাসীদের কোন জাতী গোষ্ঠী নেই। খুনি যে বা যাহারাই হোক তাদেরকে কোনভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। এমনিক আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মীও যদি এ ঘটনায় সাথে কোন ভাবে জড়িত থাকে তাদেরকেও গ্রেফতার করা হবে। খুনিরা যদি পাতালের নিচে গিয়েও পালায় সেখান থেকে তাদেরকে তুলে আইনের আওতায় আনা হবে।
আলীকদম উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিকের সভাপতিত্বে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বীর বাহাদুর এমপি এসব কথা বলেন।
তিনি ঘটে যাওয়া ঘটনায় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রশংসা করে বলে, স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টিকে দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করেছে। আমি বিশ্বাস করি আপনাদের দ্বারাই আলীকদমের সম্প্রীতি সুরক্ষা হবে।
তার আগে এগারটার দিকে বান্দরবান জেলার আলীকদম থানচি সড়কে তিন ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় নিহতের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমবেদনা ও নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি। এ সময় নিহতদের স্বজনদের প্রতি তিনি সমবেদনা জানান। পাশাপাশি এ ঘটনার পরপরই সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন তিনি।
এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ও বান্দরবান সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান পিএসসি, বান্দরবান জেলা প্রশাসক দীলিপ কুমার বণিক, আলীকদম সেনা জোনের জোন কমান্ডার কামন্ডার লে. কর্নেল মো. সরোয়ার হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ, আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল-আমিন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য থোয়াইচাহ্লা মার্মা, আলীকদম উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, মোজাম্মেল হক প্রমূখ।
মন্ত্রী নিহত তিন ব্যবসায়ীর পরিবারকে ব্যক্তিগতভাবে নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতি পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন।
এসময় জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবার প্রতি এক লক্ষ টাকা এবং অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার প্রতি ৩০ হাজার টাকা করে প্রদান করেন। এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে ১০ হাজার টাকা এবং বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কুদ্দুস ৫ হাজার টাকা প্রদান করেন।