আরব আমিরাতে গোপনে বিয়ে করলেন সাবেক পাক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারী

10947245_914697441888553_4921854960876962240_n

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট, পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর স্বামী আসিফ আলী জারদারি অত্যন্ত গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। নতুন এ জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতেই এখন থাকছেন তিনি। পাত্রী তানভির জামানি পেশায় চিকিৎসক। রাজনীতিতে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।

আসাদ খারল নামে পাকিস্তানি এক সাংবাদিকের বরাত দিয়ে লন্ডনভিত্তিক একটি সংবাদ পোর্টাল এ তথ্য প্রকাশ করেছে। একটি সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে টুইট করেন ওই সংবাদকর্মী। আর এ খবর প্রকাশের পর পাকিস্তানজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। দলে ও পরিবারে প্রবল চাপের মুখে পড়েছেন জারদারি।

পাকিস্তানের প্রভাবশালী দৈনিক পাকিস্তান অবজারভার বৃহস্পতিবার এক সংবাদে জানিয়েছে, ২০১১ সালের জানুয়ারি মাসে জারদারি দুবাইয়ে ডা. তানভির জামানিকে বিয়ে করেন। তাদের ২ বছরের এক ছেলেও রয়েছে। নাম সাজাওয়াল। বিয়ের সময় জারদারি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পদে আসীন ছিলেন। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রপতি মামনুন হোসাইনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতে পাড়ি জমান তিনি। তখন থেকে সেখানে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে দিন কাটছে তার। তবে বিষয়টি এতদিন গণমাধ্যমে আসেনি।

পাকিস্তান অবজারভারের সংবাদে বলা হয়েছে, বিয়ের খবর পাওয়ার পর থেকে বড় ছেলে ও পিপিপির বর্তমান চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টোর সঙ্গে সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে ষাট বছর বয়সী জারদারির। ডিসেম্বরে মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানেও বাবাকে দেখা দেননি বিলাওয়াল। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, পিপিপি ছেড়ে ক্ষমতাসীন নওয়াজ শরিফের দল মুসলিম লীগে যোগ দিতে যাচ্ছেন বিলাওয়াল। মুসলিম লীগ (এন) নেতা ও সিন্ধু প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী আরবাব গোলাম রহিম এদিন গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এ ঘোষণা দেন।

অবজারভারের তথ্য মতে, বিয়ের খবর প্রকাশ হওয়ার পর পিপিপি নেতা, কর্মী-সমর্থক, পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, গণমাধ্যম ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। আর ওই সময়ে খবরটি ‘মিথ্যা’ প্রমাণ করতে গণমাধ্যমগুলোর পেছনে প্রায় বিপুল মার্কিন ডলার খরচ করেন জারদারি। খবরটি তখন চাপা পড়লেও জারদারির বাবা হাকিম আলী খান জারদারি এ খবর শুনে স্ট্রোক করেন। হৃদরোগে ৩ মাস ভুগে তিনি ওই বছরের মে মাসে মারা যান।

জারদারি ও বেনজিরের তিন সন্তান রয়েছে। এরা হলেন, বিলাওয়াল ভুট্টো, বখতিয়ার ভুট্টো ও আসিফা জারদারি। ২০০৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর বেনজির ভুট্টো আত্মঘাতী হামলায় মারা যান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন