আবৃত্তি নিয়ে আরো এগিয়ে যেতে চান মুন চাকমা
ডেস্ক নিউজ:
‘স্বাধীনতা এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো’ কবিতাটি আবৃত্তি শেষে দর্শক-শ্রোতাদের তুমুল করতালির পরও মুন চাকমা বুঝতে পারেননি তিনিই হতে যাচ্ছেন চ্যাম্পিয়ন। মুন বলেন, ‘উপস্থাপক যখন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আমার নাম ঘোষণা করলেন, তখন মনে হয়েছে আমি স্বপ্ন দেখছি!’
বাংলাদেশ টেলিভিশনের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় কবিতা আবৃত্তি ‘খ’ শাখায় জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন রাঙামাটি সরকারি কলেজের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী মুন চাকমা। দেশের সাত বিভাগের চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে জাতীয় পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪, ঢাকার রামপুরা টেলিভিশন ভবনে। মুন চাকমা বলেন, ‘আমি বড় হয়ে আবৃত্তিচর্চাকে ছড়িয়ে দিতে চাই। ইচ্ছা আছে আবৃত্তিসহ সাংস্কৃতিক উন্নয়নে কাজ করে যাওয়ার।’
সেই ছোট্টবেলা থেকেই শুরু। মুন চাকমা ২০০৩ সালের ৯ অক্টোবর প্রথম শ্রেণিতে পড়ার সময় ফুলকুঁড়ি আসরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাঙামাটি পৌরসভা মিলনায়তনে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার লাভ করেন। এরপর নাচ, গান, চিত্রাঙ্কন, বিতর্ক ও কবিতা আবৃত্তিতে পাওয়া পুরস্কারের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। এখন কাজ করছেন বাংলাদেশ বেতার, রাঙামাটি কেন্দ্রে। একই সঙ্গে তিনি রাঙামাটির জনপ্রিয় শিল্পী ও উপস্থাপক।
মুন চাকমা জানান, শিক্ষিকা মা তাপসী চাকমা ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বাবা সুশীল বিকাশ চাকমার উৎসাহ ও অনুপ্রেরণায় তাঁর সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিচরণ। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে গানের শিক্ষক ও উপস্থাপক বিজ্ঞান্তর চাকমার অনুপ্রেরণায় উপস্থাপনা ও কবিতা আবৃত্তিচর্চা শুরু করেন। এখন আবৃত্তি তাঁর প্রথম পছন্দ। তবে গানও ভালো লাগে। তাঁর মতে, ‘আদিবাসীদের মধ্যে সাংস্কৃতিক চর্চার অনেক প্রতিষ্ঠান থাকলেও আবৃত্তিচর্চায় উৎসাহী মানুষের অভাব রয়েছে’।
মুন চাকমা বলেন, ‘২০০৫ সালে আদিবাসীদের প্রধান সামাজিক উৎসব ‘বিঝু’র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের ‘নিমন্ত্রণ’ কবিতা আবৃত্তি করে প্রথম পুরস্কার পেয়েছিলাম। তখন থেকে আবৃত্তিচর্চা চালিয়ে যাচ্ছি। তার সুফল পেলাম বিটিভির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত প্রতিযোগিতায়। আমি আরও এগিয়ে যেতে চাই।’
সূত্র: প্রথম আলো।