Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

আবারও অশান্ত বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগত!

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি কাজী হায়াৎ, মৌসুমী, ওমর সানী, বিদ্যা সিনহা মিম, ববিসহ নয়জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে । গঠনতন্ত্রবিরোধী কাজ করার অভিযোগে তাদের সদস্যপদ কেন বাতিল করা হবে না—এই মর্মে চিঠি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সবাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। বাকি সদস্যরা হলেন সাদেক বাচ্চু, শিবা সানু, কাবিলা ও কালা আজিজ।

১৮টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত চলচ্চিত্র পরিবারের সঙ্গে চিত্রনায়ক শাকিব খানের সমস্যা মিটমাট না হওয়া পর্যন্ত অধিভুক্ত কোনো সংগঠনের সদস্য শাকিবের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন না, এমন একটি সিদ্ধান্ত ছিল। সেই সিদ্ধান্ত অমান্য করার অভিযোগে শিল্পী সমিতি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে এফডিসির শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির এক জরুরি সভায় সমিতির নির্বাচিত দুজন সদস্যকে তাদের পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়। তারা হলেন কোষাধ্যক্ষ কমল এবং সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক জাকির হোসেন। তাদের দুজনের সদস্যপদও কেন বাতিল করা হবে না, সে ব্যাপারে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। ফাইট ডিরেক্টর ও শিল্পী সমিতির সদস্য দেলোয়ার হোসেন চুন্নুর সদস্যপদ তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।

জায়েদ খান জানালেন, শনিবার চুন্নু বাদে বাকি ১১ জনকে সমিতির পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হবে। তবে শাকিবের সঙ্গে কাজ করার জন্য এসব ব্যবস্থা নেওয়া হলো কি না, সে ব্যাপারে পরিষ্কার করে কিছুই জানালেন না তিনি। এতটুকুই বললেন, ‘গঠনতন্ত্রবিরোধী কাজ করার কারণে সমিতির কার্যকরী পরিষদের মিটিংয়ে সবার সম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

শিল্পী সমিতির নেতা জায়েদ খান বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে চলচ্চিত্রটিকে একটি শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে এগিয়ে নিতে চাই। সবাই গঠনতন্ত্র মেনেই কিন্তু এখানে সদস্য হয়েছেন। গঠনতন্ত্র না মানলে তো শিল্পীদের কোনো সমিতিই থাকার দরকার নেই।’ গঠনতন্ত্রের ৭ (ক) ও ৭ (ঙ)-তে আছে, কোনো সদস্য সংগঠনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী ও সমিতির কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্ত অমান্য করলে তার সদস্যপদ বাতিল করা হবে।

এদিকে সভায় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য হিসেবে মৌসুমীর জায়গায় নিপুণকে নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। মাসখানেক আগে দায়িত্ব পালনে অপারগতা জানিয়ে সমিতি বরাবর অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন মৌসুমী। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই মৌসুমীকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন