আনসার ক্যাম্পের লুটের অস্ত্র বান্দরবানে উদ্ধার, আটক-৩

untitled-2-copy

নিজস্ব প্রতিবেদক:

টেকনাফে আনসার ক্যাম্পের অস্ত্র লুটের ঘটনার মূল হোতা খাইরুল আমিন (বড়) ও মাস্টার আবুল কালাম আজাদকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে কক্সবাজার র‌্যাব সদস্যরা। পরে তাদের নিয়ে বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার তুমব্রু পাহাড়ী এলাকা পুরান পাড়ায় অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার সকালে ক্যাম্প থেকে লুট হওয়া একটি এসএমজি, ছয়টি ম্যাগজিন, দেশীয় তৈরি পাঁচটি বন্দুক, একটি চাইনিজ রাইফেল ও দুটি এম-টু চাইনিজ রাইফেল, ১৮৯রাউন্ড এসএমজির গুলি, ২৬রাউন্ড দেশি বন্দুকের কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে সোমবার রাতে উখিয়ার কুতুপালং এলাকা থেকে রোহিঙ্গা খাইরুল আমিন (বড়) ও মাস্টার আবুল কালাম আজাদকে একটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগানসহ গ্রেফতার করে র‌্যাব। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হাসান নামে আরও একজনকে আটক করা হয়।

র‌্যাব-৭ এর কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কর্ণেল আশেকুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের অভিযান চালিয়ে রাতে কুতুপালং এলাকা থেকে একটি পিস্তল ও একটি ওয়ান সুটার গানসহ খাইরুল আমিন (বড়) ও মাস্টার আবুল কালাম আজাদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে নাইক্ষ্যছড়ি’র বিভিন্ন পাহাড়ে সারা রাত অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার সকালে আনসার ক্যাম্প থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বেলা ১টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু’র গহীন পাহাড়ি এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ ও আনসারের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান।

‌র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ বলেন, তুমব্রু গহীণ পুরান পাড়া এলাকায় পাহাড়ের গর্তে প্লাস্টিক ড্রামে অস্ত্রগুলো লুকানো ছিল।

পাহাড়ি অঞ্চলের গভীর অরন্যের সম্ভাব্য দুটি পাহাড় ঘিরে রেখেছে ‌র‌্যাব ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। সেখানে আরও দুদিন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বেনজির আহমেদ বলেন।

র‌্যাব সদস্যরা পাহাড়ের গর্তে লুকিয়ে রাখা আনসার ক্যাম্প থেকে লুট হওয়া অস্ত্রশস্ত্র দেখান  সাংবাদিকদের।

২০১৬সালের ১৩মে টেকনাফ উপজেলার নয়াপাড়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আনসার বাহিনীর শালবন ব্যারাকে গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। এতে দুর্বত্তের গুলিতে নিহত হয় আনসার কমান্ডার আলী হোসেন। তারা ব্যারাক থেকে ১১টি অস্ত্র ও বিপুল সংখ্যক গুলি লুট করে নিয়ে যায়।

এর পরদিন অজ্ঞাত পরিচয় ৩০-৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মো. আলমগীর হোসেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন