আদিবাসী দিবস পালনের নামে কোনো রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্র যাতে না চলতে পারে সে ব্যাপারে সরকারকে সতর্ক থাকার আহ্বান
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
৭ আগস্ট পার্বত্য যুব ফ্রন্ট এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল্লাহ আরাফাত সবুজ, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান আলম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন রাঙ্গামাটি জেলা সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কামাল এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশে কোন আদিবাসী নেই। সরকারের ঘোষণার পরেও গুরুত্ব সহকারে আদিবাসী দিবস পালনের মধ্যে দিয়ে আদিবাসী স্বীকৃতি আদায়ে ব্যর্থ চেষ্টাকে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র বলে মনে করেন।
উল্লেখ্য, উপজাতীয় নেতারা প্রায়শই বলেন, ‘পাহাড়ে বাংলাদেশ সরকারের কোন ভূমি অধিকার নাই। নিজেদের চির পুরাতন জাতীয় পরিচিতি তথা চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ইত্যাদি পরিচয় বাদ দিয়ে তারা নিজেদেরকে আদিবাসী বলে জাতিসংঘে এবং সংবিধানে স্বীকৃতি চেয়ে জোর লবিং চালাচ্ছে।
আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি পেলে উপজাতীয় নেতারা আইএলও সনদ মোতাবেক পার্বত্যাঞ্চলকে সংরক্ষিত স্বাধীন জুমল্যান্ড হিসেবে ঘোষণা দিতে পারবে। ফলে আদিবাসী এলাকায় সমতলের বাঙালি কিংবা নিরাপত্তা বাহিনী, পুলিশ বা বাংলাদেশ সরকারের কোনরূপ নিয়ন্ত্রণ/আইন কানুন প্রয়োগ করা যাবে না।
অন্যদিকে, শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের নামে সরকারের পক্ষ থেকে ধাপে ধাপে সমস্ত বিষয়গুলোই উপজাতীয় নেতাদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরিত হলেও রাষ্ট্রদ্রোহী সশস্ত্র সন্ত্রাস, বন্দুকযুদ্ধ ও চাঁদাবাজী আজ পর্যন্ত বন্ধ না হওয়ায় উপজাতীয় নেতাদের নেতৃত্ব ও গ্রহনযোগ্যতা নিয়েই পাহাড়ে আজ সবার মনে প্রশ্ন জেগেছে। পাহাড়ে শান্তি স্থাপনে উপজাতীয় নেতাদের ব্যর্থতার কারণে পার্বত্যবাসীরাও আজ গভীর হতাশায় নিমজ্জিত।
সন্তু লারমাদের ব্যর্থতার দায়ভার বাংলাদেশ সরকার তথা বাংলার জনগণকে নিতে হবে কেন? তাই আগামী ৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালনের মাধ্যমে যাতে রাষ্ট্র বিরোধী কোন যড়যন্ত্র করতে না পারে সে ব্যাপারে সরকারের প্রতি সজাগ থাকার জোর আহবান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।