আতঙ্কের শহর খাগড়াছড়ি: জানমালের নিরাপত্তা নেই কারো

Khagrachari Pic 05

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:

খাগড়াছড়ি এখন আতঙ্কের শহর। আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধারাবাহিক হামলা-পাল্টা হামলা, মামলা, পাল্টা-পাল্টি মিছিল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভংচুরের ঘটনায় আইনশৃংখলা পরিস্থিতি চরম অবনতিতে খাগড়াছড়ি শহরবাসী দিন পার করছে নিরাপত্তাহীনতায়। শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

শুক্রবার দুপুরে আদালত এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রইছ উদ্দিনের উপর হামলা, বৃহস্পতিবার সকালে আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য নির্মলেন্দু চৌধুরীর উপর হামলা, জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে বিশেষ আইনশৃংখলা সভা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপির অনুসারীদের বর্জন এবং পাল্টা-পাল্টি মামলা সব মিলিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা শহর আতংকের শহরে পরিণত হয়েছে। চারদিকে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

এসব ঘটনায় পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ করছে,জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি ও সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলমের অনুসারীরা।

Khagrachari Picture 02

এদিকে বৃহস্পতিবারের হামলার পর শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার আদালত সড়ক এলাকায় নতুন করে খাগড়াছড়ি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা কমান্ডার মো. রইছ উদ্দিনের এ হামলার ঘটনা ঘটে। তাকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার নয়নময় ত্রিপুরা পার্বত্যনিউজকে জানান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রইছ উদ্দিনের বাম হাতের কব্জির পাশে একটি হাড় ভেঙ্গে গেছে।

রইছ উদ্দিনের উপর হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকালে আওয়ামীলীগ নেতা জাহেদুল আলমের অনুসারীরা শহরে মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে শাপলা চত্বরে সমাবেশ থেকে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম হামলার জন্য জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপিকে দায়ী করেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রণ বিক্রম ত্রিপুরা। রইছ উদ্দিনের উপর হামলার ঘটনায় শনিবার সকালে নেতা জাহেদুল আলমের অনুসারীরা আওয়ামীলীগ শাপলা চত্বরে মানববন্ধন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছে ।

এদিকে বৃহষ্পতিবার বেলা ১২টার দিকে নারিকেল বাগান এলাকায় খাগগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য নির্মলেন্দু চৌধুরীর উপর হামলার ঘটনা ঘটে। নির্মলেন্দু চৌধুরীকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ হামলার ঘটনার জন্য জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রণ বিক্রম ত্রিপুরা জাহেদুল আলম ও তার ছোট ভাই পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলমকে দায়ী করেন। পক্ষান্তরে জাহেদুল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘জনৈক অপ্রকৃতিস্থ লোক নির্মল বাবুর ওপর হামলা করেছে।

Khagrachari Picture 01

আওয়ামী লীগ নেতা শানে আলম পার্বত্যনিউজকে বলেন, ‘নির্মলেন্দু চৌধুরী আমার বাড়িতে ঢুকে পড়লে সেখান থেকেও মেয়র রফিকুল তাঁকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে আসেন। এরপর ক্যাডাররা বেধড়ক মারধর করে তাঁকে।’

খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক নয়নময় ত্রিপুরা পার্বত্যনিউজকে জানান, নির্মলেন্দুর শরীরে গুরুতর জখম রয়েছে। তাঁর নাক ও কানে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।

এদিকে পৌর মেয়র রফিকুল আলম পার্বত্যনিউজকে বলেন, ‘নির্মলেন্দু চৌধুরী একটি বাহিনী তৈরি করেছেন। এতে শহরে আতঙ্কজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।বৃহস্পতিবার জনগণের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এলাকার লোকজন নির্মলেন্দুকে মারধর করেছেন। আমি বরং তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়েছি।

এদিকে নির্মলেন্দু চৌধুরীর হামলার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক শহরে মিছিল বের করে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপির অনুসারিরা। জাহেদুল আলম ও রফিকুল আলমের বিরুদ্ধে নানা শ্লোগান দিয়ে মিছিলটি শাপলা চত্বরে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। নেতাকর্মীরা পুলিশের ব্যারিকেট ভেঙ্গে আওয়ামীলীগের অপর অংশের কার্যালয়ে হামলা চালায়। এ সময় কয়েকটি দোকানে হামলা ও কয়েকটি টমটম ভাংচুর হয়। এ সময় আতংকে শহরের অধিকাংশ দোকানপাট ও যানবাহন সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়।

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের ডাকা বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বৈঠক বর্জন করে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি ও তার অনুসারীরা। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল আমিন সবাইকে যথা সময়ে চিঠিও পৌঁছানো হয়েছিল।

Khagrachari Picture 04

কিন্তু বৈঠকে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মো: মজিদ আলী, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম ও খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলমসহ সংশ্লিষ্টরা বৈঠক উপস্থিত থাকলেও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি ও তার অনুসারীরা উপস্থিত হননি। ফোনে তারা এ ধরণের বৈঠকে যোগ দিবেন না বলে জানিয়েছেন।

বৈঠকে যোগদান না করার বিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রণ বিক্রম ত্রিপুরা পার্বত্যনিউজকে জানান, প্রকাশ্যে দিবালোকে জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরীর উপর হামলা হয়েছে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তার এখনও জ্ঞান ফিরেনি। অথচ চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা এখনও গ্রেফতার হয়নি। হামলাকারীদের সাথে জেলা প্রশাসনের এ বৈঠক তিনি হাস্যকর বলে দাবী করেন।

এ ঘটনায় বৃহসপতিবার রাতে খাগড়াছড়ি পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো: জাবেদ হোসেন বাদী হয়ে বহি:স্কৃত জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জাহেদুল আলম ও তার ছোট ভাই মেয়র রফিকুল আলমসহ ৩৮ জনকে আসামী করে মামলা করেন।

অপর দিকে বুধবার রাতে শহরের শালবন এলাকায় আওয়ামীলীগের জাহেদুল আলমের অনুসারি শুক্কর আলীর উপর হামলার ঘটনায় তিনি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপির অনুসারি আওয়ামীলীগের ১১ নেতাকর্মীকে আসামী করে মামলা করেন।

খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরীর উপর হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শাপলা চত্বর ঘুরে খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে কংজরী চৌধুরী হামলার জন্য বহি:স্কৃত জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জাহেদুল আলম ও তার ছোট ভাই মেয়র রফিকুল আলমকে দায়ী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে ৪৮ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন।

Khagrachari Picture 06

সমাবেশে জেলা আওয়ামলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মংশেপ্রু চৌধুরী অভিযোগ করেন, মেয়র রফিকুল আলম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে জেলার সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, পূরোহিত ও মাওলানা কেউই রেহায় পাচ্ছে না।

এদিকে সনাতন সমাজ কল্যান পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান উপদেষ্টা, পূজা উদযাপন পরিষদ, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য নির্মলেন্দু চৌধুরীর উপর চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের নগ্ন হামলার তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছেন সনাতন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

শুক্রবার বিকালে সংবাদপত্রে প্রেরিত এক যৌথ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে খাগড়াছড়ি জেলা শাখার আহবায়ক তপন কান্তি দে, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক তরুণ কুমার ভট্টাচার্য্য ও কেন্দ্রীয় সনাতন সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি স্বপন ভট্টাচার্য্য এক যুক্ত বিবৃতিতে বাবু নির্মলেন্দু চৌধুরীর উপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও খাগড়াছড়ি জেলার সকল হিন্দু সম্প্রদায়ের জানমালের নিরাপত্তা প্রদানসহ জেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের সকল নাগরিকের জান-মাল রক্ষায় প্রশাসনের উপযুক্ত পদক্ষেপ ও বাবু নির্মলেন্দু চৌধুরীর উপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি,খাগড়াছড়ি জেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের সকল মঠ-মন্দির, বিভিন্ন ধর্র্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দের নিরাপত্তা ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় ভবিষ্যতে হিন্দু সম্প্রদায়ের নাগরিক ও জান-মালের উপর হামলা অত্যাচার নির্যাতন বন্ধে সরকারের উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানানো হয়।

একই দাবীতে শনিবার জেলা ও সকল উপজেলার সকল মন্দিরে সনাতন সম্প্রদায়ের জান-মালের নিরাপত্তার দাবীতে প্রতিবাদী ব্যানার উত্তোলন, রবিবার জেলা সদর ও সকল উপজেলায় মানববন্ধন,বিক্ষোভ মিছিল ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবীতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্বারকলিপি দেওয়া হবে।

এর আগে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর প্রথম আলোর খাগড়াছড়ির আলোকচিত্র সাংবাদিক নীরব চৌধুরীকে ধরে নিয়ে পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কর্তৃক মারধর করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ২০ ডিসেম্বর স্থানীয় সাংবাদিকরা খাগড়াছড়ি পৌর শাপলা চত্বরে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে মেয়র মো. রফিকুল আলমের অনুগত হিসেবে পরিচিত মো: দিদার ওরফে কসাই দিদারের নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৪৫ জন সন্ত্রাসী ‘একটি-দুটি সাংবাদিক ধর, ধরে ধরে জবাই কর,সাংবাদিকদের আস্তানা-জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি শ্লোগান দিয়ে জঙ্গী মিছিল নিয়ে মানববন্ধনস্থলে হাজির হয়।

একপর্যায়ে তারা মানববন্ধন কর্মসূচিতে ব্যবহারের জন্য সাংবাদিকদের আনা মাইক নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও মানববন্ধনে অংশ নেওয়া প্রত্যেক সাংবাদিককে জবাই করে হত্যা করার হুমকি দিয়ে বক্তব্য কসাই দিদার। এ সময় অধিকাংশ সন্ত্রাসীর হাতে ছিল কিরিচ ও লাঠিসোটা। এ সময় পুলিশ শুধু নির্বিকার ছিলেন না, উল্টো সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো সাংবাদিকদের কর্মসূচী সংক্ষিপ্ত করার পরামর্শ দেন।

ঘটনার আকস্মিকতায় সাংবাদিকেরা তাৎক্ষনিক খাগড়াছড়ির সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান ও পুলিশ সুপার মো. মজিদ আলীর সঙ্গে দেখা করে তাঁদের বিষয়টি জানান এবং জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় ৩৫ সাংবাদিক এ জিডি করেন। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে নীরব চৌধুরীও থানায় আলাদা জিডি করেন।

পুলিশ ৩৫ সাংবাদিকদের জিডি নন জিআর মামলা হিসেবে গ্রহণ করে খাগড়াছড়ির সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ার মো: নোমানের আদালতে পাঠানো হলে আদালত তা অনুমোদন দিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দ্দেশ দেন। কিন্তু গত এক মাসেও মামলাটি দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। তবে এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান পার্বত্যনিউজকে জানান, শীঘ্রই ফলাফল পাবেন বলে জানান।

সদর থানার ওসি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক জাবেদ হোসেন বাদি হয়ে নির্মলেন্দু চৌধুরীর উপর হামলায় পৌর মেয়র রফিকুল আলমসহ ৩৮জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছে।

অন্য দিকে মেয়রের অনুসারী শুক্কর আলী বাদি হয়ে সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার লোকজন মারধর করার অভিযোগে একটি মামলা করেছে। পুলিশ আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মোঃ মজিদ আলী (বিপিএম সেবা) পার্বত্যনিউজকে বলেন, জেলার আইন শৃংখলা স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। পুলিশ সাধারন মানুষের জানমান রক্ষায় প্রয়োজনে আরো কঠোর হবে।

গত পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়াকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগ দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এর পর থেকে প্রতিনিয়ত খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি ও সাধারন সম্পাদক জাহেদুল আলমের অনুসারিদের পাল্টা-পাল্টি হামলা,মামলা ও ভাংচুরে লিপ্ত হয়ে আসছে। এ সময় উভয়ের মধ্যে প্রায় অর্ধ শতাধিক পাল্টা-পাল্টি মামলা,হামলা ও উভয়ের অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী-পথচারী আহত হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন