আজিজনগরের বিশেষ প্রকল্পের ১’শ মেট্রিক টন খাদ্যশস্যের বিষয়ে জনসাধারণ কিছুই জানে না

লামা প্রতিনিধি:

বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নের উন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় দু’দফায় ১ শত মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বিশেষ প্রকল্প কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দ দিয়েছে।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের আবেদনের প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় বিশেষ প্রকল্প কর্মসূচির আওতায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের মাধ্যমে এই খাদ্যশস্য বরাদ্দ প্রদাণ করেন।

চলতি অর্থ বছরের গত ডিসেম্বর-২০১৭’র পূর্বে ৫০ মেট্রিক টন এবং গত ২২মে-২০১৮ ৫০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্য সরকারী খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। এ সকল বরাদ্দের আওতায় গৃহীত প্রকল্প সমূহের বিষয়ে স্থানীয় জনসাধারণ কিছুই জানে না মর্মে অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, আজিজনগর ইউনিয়নের উন্নয়নে নির্ধারিত প্রকল্পের অনুকূলে এ সকল খাদ্যশস্য বরাদ্দ প্রদান করা হয়। বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্যের অনুকূলে গৃহীত প্রকল্প জুন মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিশেষ প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্য দ্বারা জনসাধারণ উপকৃত হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট প্রকল্প চেয়ারম্যানগণ অত্যন্ত গোপনে ডি.ও. গ্রহন করে খাদ্যশস্য আত্মসাৎ করেছেন। বিশেষ প্রকল্পের বিষয়ে অত্যন্ত গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়েছে।

আজিজনগরের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্যগুলো গোপনীয়ভাবে বিক্রয় করে দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প চেয়ারম্যানগণ বান্দরবান জেলা পরিষদ থেকে ডি.ও. গ্রহন করে কালোবাজারে বিক্রয় করে দিয়েছে। স্থানীয় বাজারে বিশেষ প্রকল্পের খাদ্যশস্যের কোন প্রভাব পড়েনি বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রাকৃতিক দুযোর্গসহ স্থানীয় চাহিদার প্রেক্ষিতে সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, মসজিদ মন্দির, কিয়াং, র্গীজা এর উন্নয়ন দুস্থ মহিলা ও কৃষকদের উন্নয়নসহ এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশেষ প্রকল্পের খাদ্যশস্য বরাদ্দ প্রদান করা হলেও পুরোটা লুটপাট করা হয়ে বলে অভিযোগ উঠেছে। চলতি অর্থ-বছরের ১০০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্যের আওতায় আজিজনগরে গৃহীত প্রকল্প সম্পর্কে স্থানীয় জনসাধারণ জানেনা মর্মে জানা গেছে।

সরেজমিন পরিদর্শনে জানা যায়, উত্তর নয়া পাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে ড্রেইন নিমার্ণে ১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের বরাদ্দ স্মারক নং ১৪২ তাং ২২/০৫/১৮ইং মূলে ৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দের আওতায় এ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়।

প্রকল্প সুবিধা ভোগীরা জানিয়েছেন, এ প্রকল্প গ্রহণের বিষয়ে তারা কিছুই জানে না। প্রকল্প এলাকায় সাইন বোর্ড নাই ও প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয় নাই।

অপরদিকে আজিজনগর ইউনিয়নে গরীব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ১০ মেট্রিক টন এবং আজিজনগরের গরীব কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণে ১০ মেট্রিক টন চাল একই স্মারকে বরাদ্দমূলে প্রকল্প গ্রহন করা হয়। জুন মাস শেষ হতে চললেও প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা হয়নি। দুই দফায় ১০০ মেট্রিক টন খাদ্যশস্যের আওতায় গৃহীত কোন প্রকল্পের সরেজমিন পরিদর্শনে সাইন বোর্ড পাওয়া যায় নাই।

প্রকল্প সুবিধাভোগী এলাকার জনসাধারণ জানিয়েছেন, এ সকল বরাদ্দের বিষয়ে তারা কিছুই জানে না।

আজিজনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, সুবিধামত সময়ে শিক্ষা উপকরণ ও কৃষি উপকরণ প্রদান করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন