আগুনে সর্বহারা গ্রাম পুলিশ নুর নবীর পাশে দাঁড়িয়েছে বাঘাইছড়ি কাঠ ব্যাবসায়ী সমিতি

বাঘাইছড়ি প্রতিনিধি :

গত ২৪ আগস্ট অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্ব হারানো রুপকারী ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ মো. নুর নবীর পাশে দাঁড়িয়েছে বাঘাইছড়ি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি। মঙ্গলবার(২৯ আগস্ট ) সন্ধায় সমিতির কার্যালয়ে গ্রাম পুলিশ মো. নুর নবীর হাতে দুই বাণ্ডিল ঢেউটিন তুলেদেন সমিতির নেতৃবৃন্দ।

এসময়  কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী আবুল মাসুম, সাধারণ সসম্পদক মো. গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, সহ-সভাপতি মো. ওমর আলী, সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পদক মো. জমির হোসেন, কোষাধক্ষ্য মো. এনতাজ আলী, দপ্তর ও প্রচার সম্পদক জয়নাল আবেদিন বুলু, সদস্য মো. রফিক আলী সহ সমিতি কার্যনির্বাহী সদস্য গণ উপস্থিত ছিলেন। নিজ রান্নাঘরের চুলার আগুনে সর্বহারা নুর নবী সরকারি কোন সহযোগিতা না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

জানাযায়, বৃহস্পতিবার(২৪ আগস্ট)  সকাল দশ ঘটিকার সময় বাঘাইছড়ি কাচালং বাজার সংলগ্ন মোস্তফা কলনীতে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড সংঘঠিত হয়। এতে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ মো. নুর নবী(৪৮), পিতা- মৃত লাল মিয়ার বসত ঘরটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায় এতে প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়। ধারণা করা হচ্ছে নুর নবীর রান্নাঘরের চুলা থেকে এই অগ্নিকাণ্ড সংঘঠিত হয়।

এসময় নুর নবীর আত্মচিৎকারে এসআই রুবেলের নেতৃত্বে  বাঘাইছড়ি থানার পুলিশ সদস্য এবং এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু আশপাশে পানির সু-ব্যাবস্থা না থাকার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সদস্য এবং এলাকার লোকজনের অনেক কাঠখর পোড়াতে হয়।
এসময় আগুন নিভাতে আসা পুলিশ কর্মকর্তা এসআই রুবেল জানান সময়মত পুলিশ সদস্য এবং এলাকার লোকজন এগিয়ে না আসলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারতো এবং আশপাশের এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পরার সম্ভাবনা ছিলো। আকর্ষিক অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসা নুর নবীর কান্নাকাটিতে আশপাশের লোকজনের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। সে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলে আমার পরনের লুঙ্গিটি ছাড়া আমি আর কিছুই বাঁচাতে পারিনি আমার সবকিছু শেষ হয়ে গেছে।

সরকারের কাছে বারবার আবেদন করেও বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আয়তনের উপজেলা বাঘাইছড়িতে ফায়ারসার্ভিসের কোন অগ্রগতি না হওয়ায় সকলের মধ্যে চাপা ক্ষোভ লক্ষ্য করা গেছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন