আওয়ামীলীগের কাউন্সিল অধিবেশনে পাশাপাশি কুজেন্দ্র-জাহেদ
নিজস্ব প্রতিবেদক :
দ্বিধাবিভক্ত খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিরোধ ও পরস্পরবিরোধী অবস্থানের পরেও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ২০তম জাতীয় কাউন্সিলের প্রথম অধিবেশনে পাশাপাশি বসেছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. জাহেদুল আলম।
দলের জাতীয় কাউন্সলে এ দু’নেতা পাশাপাশি চেয়ারে বসলেও তাদের মধ্যে কোন কথা হয়েছে কিনা জানা যায়নি। তবে তাদের দুজনের পাশাপাশি বসাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন খাগড়াছড়ি আওয়ামী লীগের তৃণমুলের নেতাকর্মীরা।
গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আলহাজ্ব মো. জাহেদুল আলম আওয়ামীলীগের জাতীয় কাউন্সিলে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যোগ দিতে পারবেন কিনা পক্ষে-বিপক্ষে নানা প্রচারণার পরে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জাতীয় কাউন্সিলে তার যোগদানে উজ্জীবিত জাহেদুল আলম বলয়ের নেতাকর্মীরা।
বিগত পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই ভাগে বিভক্ত খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। সে থেকেই আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা কুজেন্দ্র-জাহেদ বলয়ে বিভক্ত হয়ে রাজনৈতিক কর্মসুচী পালন করে।
খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহেদুল আলমকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে প্রতিপক্ষ গ্রুপের এমন বক্তব্যকে নিছক অপপ্রচার দাবী করে খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন ফিরোজ তার ফেইসবুক স্টাটাসে লিখেছেন জাতীয় কাউন্সিলে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অপপ্রচারকারীদের সব বক্তব্য মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি বলেন, হাইব্রিড নেতারা লুটপাট করতে বর্ষীয়ান এই নেতাকে সরাতে এবং সংগঠনকে ধ্বংস করতে যে ষড়যন্ত্র করেছে তাদের সে চক্রান্ত থেমে গেছে।
অন্যদিকে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলয়ের নেতা খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো. নুরুল আযম তার ফেইসবুক স্টাটাসে লিখেছেন, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মো. জাহেদুল আলম জাতীয় কাউন্সিলের পরে সাধারণ সম্পাদক পদে থাকবেন না। তাকে আবারো সাধারণ সদস্য পদ গ্রহণের মাধ্যমে শুরু করতে হবে।
