আইন সংশোধন ছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রামে নির্বাচন সম্ভব নয়

image_23435

মোহাম্মদ জুলফিকার আলী

পার্বত্য চট্টগ্রামে দুই যুগ ধরে বিরাজমান অস্থিতিশীলতা ও যুদ্ধাবস্থার অবসান ঘটিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে ২ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সালে ঢাকায় এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। জনসংহতি সমিতি পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বায়ত্তশাসন ও অন্যান্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ১৯৭৫ সাল থেকে সেখানে সশস্ত্র আন্দোলন চালিয়ে আসছিল। এই চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামকে ‘উপজাতি অধ্যুষিত’ এলাকা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পার্বত্য চট্টগ্রামসংক্রান্ত সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে উপজাতিদের কর্তৃত্ব ও প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত করেছে। চুক্তির ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হবেন পার্বত্য চট্টগ্রামের একজন উপজাতি। বর্তমানে এ মন্ত্রণালয়ের সচিবও একজন উপজাতি। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, তিনটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের পদ উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রশাসনিক কার্যক্রম, আইন প্রণয়ন, উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে উপজাতিদের একক কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধির কার্যকারিতা থাকায় ভূমিবিষয়ক কার্যাবলি সম্পাদনে তাদের কর্তৃত্ব অনেকাংশে শিথিল এবং অনেক ক্ষেত্রে তা দ্বৈততার সৃষ্টি করেছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ এবং তিনটি পার্বত্য জেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদের বিধান নেই। ভাইস চেয়ারম্যান পদ থাকলে স্বাভাবিকভাবে পদাধিকারী ব্যক্তি হবেন একজন অ-উপজাতি অর্থাৎ একজন বাঙালি। চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতি বা অন্য কোনো কারণে তার পদ শূন্য হলে সাময়িকভাবে হলেও আঞ্চলিক পরিষদ এবং তিনটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন একজন অ-উপজাতি। উপজাতিদের কর্তৃত্ব ও প্রাধান্য হারানোর ভীতির কারণেই সম্ভবত ভাইস চেয়ারম্যানের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। উপজাতিরা তাদের অ-উপজাতি প্রতিবেশীর ওপর আস্থা রাখতে পারেনি।

পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ আইন ১৯৮৯-এর ভিত্তিতে ২৫ জুন ১৯৮৯ রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদের প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ ১০ জুলাই এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ ১২ জুলাই প্রথম অধিবেশনে মিলিত হয়। পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদের মেয়াদ প্রথম অধিবেশনের তারিখ থেকে তিন বছর। সে অনুসারে রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি স্থানীয় সরকার পরিষদের মেয়াদ শেষ হয় ৯ জুলাই ১৯৯২ এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদের মেয়াদ শেষ হয় ১১ জুলাই ১৯৯২।
তিনটি পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ আইন ১৯৮৯-এর ১৬ নম্বর ধারার বিধান অনুযায়ী, পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখের পূর্ববর্তী ৬০ দিনের মধ্যে পরিষদের নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু তখনকার পরিস্থিতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয় এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট আইনের কয়েকবার সংশোধনী এনে ১৮২০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই সময় স্থানীয় সরকার পরিষদ আইন ১৯৮৯-এর ১৬ নম্বর ধারার সাথে ১৬(ক) ধারা সংযোজন করা হয়।

এ নতুন ধারায় উল্লেখ আছে, যদি বর্তমান পরিষদের মেয়াদকালের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব না হয় তাহলে একজন চেয়ারম্যান ও চারজন সদস্য সমন্বয়ে একটি অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত এ অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ স্থানীয় সরকার পরিষদের দায়িত্বে থাকবে। কিন্তু নির্ধারিত সময় অর্থাৎ ১৮২০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা হয়নি।
দু’টি রিট মামলার পরিপ্রেক্ষিতে রিট দু’টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলার ক্ষেত্রে ১৬(ক) ধারার প্রয়োগ স্থগিত থাকে। এ অবস্থায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের মেয়াদ অতিক্রান্ত হওয়ার প্রাক্কালে ১৬(ক) ধারা মোতাবেক খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ ২ জুলাই ১৯৯৭ গঠন করা হয়।
হাইকোর্ট ৫ আগস্ট ১৯৯৭ তিনটি পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ আইন ১৯৮৯-এর ১৬ নম্বর ধারার সাথে সংশোধিত ১৬(ক) ধারা প্রয়োগের বিরুদ্ধে দায়ের করা রিট দু’টি নিষ্পত্তি করে। হাইকোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ১৬(ক) ধারা অনুযায়ী ৫ আগস্ট ১৯৯৭ রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ গঠন করা হয়। রায়ে আরো নির্দেশ দেয়া হয় যে, অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদ গঠনের ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ৬০ দিনের মধ্যে তা সম্ভব না হলে পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে করতে হবে। কিন্তু বিভিন্ন অজুহাতে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা হয়নি। এই ছিল তিনটি পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পর্কিত চুক্তির পূর্ববর্তী অবস্থা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বর্ণনা অনুযায়ী রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ আইন ১৯৮৯ (১৯৮৯ সালের ১৯, ২০ এবং ২১ নম্বর আইন)-এর সংশোধন করে ১৯৯৮ সালের ৯, ১০ ও ১১ নম্বর আইন প্রণয়ন করা হয় এবং সংশোধিত আইন তিনটি বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় ২৪ মে ১৯৯৮ প্রকাশিত এবং ওই তারিখ থেকেই বলবৎ করা হয়। সংশোধিত আইনে পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদ পার্বত্য জেলা পরিষদ নামে আখ্যায়িত হয়েছে।

বাংলাদেশের সংবিধানে বর্ণিত যোগ্যতা অনুসারে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি ও অ-উপজাতি সবাই ভোটার হবেন। ১৯৯৮ সালে সংশোধিত পার্বত্য জেলা পরিষদ আইনে ভোটার হওয়ার যোগ্যতা হিসেবে সংশ্লিষ্ট জেলার স্থানীয় বাসিন্দার শর্ত আরোপ করা হয়েছে এবং পার্বত্য তিনটি জেলায় ভোটার তালিকা প্রণয়নে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে স্থায়ী বাসিন্দার শর্ত আরোপের কারণে। বাংলাদেশের সংবিধানের ১২২ নম্বর অনুচ্ছেদ এবং ভোটার তালিকা অধ্যাদেশ ১৯৮২-এর ৭ নম্বর ধারায় ভোটার হওয়ার যোগ্যতার ক্ষেত্রে স্থানীয় বাসিন্দার শর্তের উল্লেখ নেই। ভোটার তালিকা অধ্যাদেশ ১৯৮২ একটি আইন, যা স্থানীয় পরিষদ এবং জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে সমভাবেই প্রযোজ্য।

১৯৯৮ সালের সংশোধিত আইনে অ-উপজাতি স্থায়ী বাসিন্দাকে নিম্নোক্তভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে : ‘অ-উপজাতি স্থায়ী বাসিন্দা’ অর্থ যিনি উপজাতি নন এবং যার পার্বত্য জেলায় বৈধ জায়গাজমি আছে এবং যিনি পার্বত্য জেলায় সুনির্দিষ্ট ঠিকানায় বসবাস করেন। সংবিধানে বর্ণিত যোগ্যতার বাইরে ভোটার হওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ‘স্থায়ী বাসিন্দা’ হওয়ার শর্ত অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের অব্যবহিত পরে চুক্তি প্রণেতাদের শীর্ষ এক সদস্যকে আমি জিজ্ঞেস করলে তিনি উত্তর দেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ভোটারদের দু’টি তালিকা হবে। বর্তমান আইন অনুসারে জাতীয় সংসদ, পৌরসভা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হবে একটি ভোটার তালিকা অনুযায়ী। এই তালিকায় সংবিধানে বর্ণিত যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত উপজাতি এবং অ-উপজাতি সবাই ভোটার হবেন। অপর দিকে পার্বত্য জেলা পরিষদ (প্রকৃত অর্থে স্থানীয় সরকার) নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা হবে ভিন্ন। এই বিধান অনুসরণ করলে হাজার হাজার অ-উপজাতি বাসিন্দা ভোটার তালিকাভুক্ত হওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন। পার্বত্য এলাকার পৌরসভাগুলোতে ৪০-৫০ বছর ধরে যারা বসবাস করছে, কিন্তু কোনো মৌজায় যাদের জমি নেই, এমন অ-উপজাতি আদিবাসীদের কী হবে। এমনকি অ-উপজাতি স্থায়ী বাসিন্দা, যাদের সন্তানসন্ততির নামে জমি নেই, তারাও ভোটার তালিকাভুক্ত থেকে বঞ্চিত হবে। উল্লেখ করা প্রয়োজন, ১৯৮৯ সালে প্রণীত তিনটি পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন (সর্বশেষ সংশোধনীসহ) সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদের জন্য পৃথক ভোটার তালিকা থাকবে কিংবা পৃথক ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা হবে, এ ধরনের কোনো বিধান চোখে পড়ে না।

আমার কাছে মনে হয়েছে, অ-উপজাতি ভোটার নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ভোটার হওয়ার যোগ্যতা হিসেবে স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার শর্ত যুক্ত করেছে এবং সরকার সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। তারা জেলা পরিষদ নির্বাচনে অ-উপজাতিদের ওপর নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে চায়। যেকোনো অ-উপজাতি ব্যক্তি ইচ্ছা করলেই জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না। অর্থাৎ উপজাতি নেতৃবৃন্দ নিজেদের পছন্দমতো অ-উপজাতিদের জেলা পরিষদে নির্বাচিত করে আনতে পারবে। ভোটার তালিকা সঙ্কুচিত করে নিজেদের রাজনৈতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায় তারা।

পার্বত্য চুক্তির পর ১৬ বছরের বেশি সময় পার হয়েছে। সরকারের পক্ষে শুধু অ-উপজাতি স্থায়ী বাসিন্দাদের সমন্বয়ে ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা সম্ভব হয়নি এবং সরকার তা পারবে না। যদি সরকার ভোটার তালিকা করতে সক্ষম হতো, তাহলে পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বিগত ১৬ বছরে সরকার অন্তত একবার হলেও ভোটার তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ নিত। এ জন্য সরকারের সদিচ্ছার অভাব কোনো কারণ নয়। ১৬(ক) ধারা প্রয়োগযোগ্য নয় বলেই ভোটার তালিকা প্রণয়নে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে এবং সরকার এই অবস্থা বাঁচিয়ে রেখেছে।

পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার আইনের ১৬(ক) নম্বর ধারার প্রয়োগ করে পার্বত্য জেলা তিনটিতে বসবাসরত অ-উপজাতিদের বাদ দিয়ে ভোটার তালিকা করা হলে তাদের ভোটের অধিকার হরণ করা হবে। ভোটাধিকার হলো একটি মৌলিক অধিকার। পার্বত্য চট্টগ্রামের অ-উপজাতি অধিবাসীদের ভোটাধিকার হরণের যেকোনো উদ্যোগ শুধু পার্বত্য এলাকায় নয়, সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় তুলবে এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি করবে। পাহাড়ে উপজাতি ও অ-উপজাতিদের মধ্যে সম্পর্কেরও অবনতি ঘটবে। তা ছাড়া সংশ্লিষ্ট আইনকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিটও হবে। সব মিলিয়ে পার্বত্য এলাকায় অস্বস্তিকর ও অরাজক অবস্থার সৃষ্টি হবে। দেশের নাগরিকদের একটি অংশ, ুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে সৃষ্ট রাজনৈতিক ঝুঁকি কোনো দল বা সরকার নিতে আগ্রহী হবে বলে মনে হয় না।

ভোটার হওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ‘স্থায়ী বাসিন্দার’ শর্তের বিলোপ ছাড়া ভোটার তালিকা প্রণয়ন করা সম্ভব হবে না। এই শর্তের বিলোপ বা সংশোধন করা না হলে পার্বত্য জেলা স্থানীয় সরকার পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠান কোনোভাবেই সম্ভব নয়। স্থানীয় সরকার পরিষদের নির্বাচন না হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের নির্বাচনও হবে না। কারণ তিনটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্যরাই আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নির্বাচিত করবেন। অনির্বাচিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিনটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পরিচালিত হচ্ছে। কারণ, এই ব্যবস্থা অব্যাহত থাকলে সরকার ও জনসংহতি সমিতি উভয়েরই সুবিধা।
♦ লেখক : সাবেক যুগ্মসচিব, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।  ♦ সূত্র: নয়াদিগন্ত

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন