অস্ত্র মামলায় কারাগারে গেলেন রাজাখালী ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর

জেল

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

অস্ত্র মামলায় কারাভোগে গেলেন কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউপির নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় পেকুয়া থানায় র‌্যাব বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা রেকর্ড করার পর তাকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।

থানা সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম র‌্যাব ৭’র বিজিবি সদস্য ডি এমবি জিসিইউ হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। যার নং ২/১.৫.১৭ইং।

পরিবারের দাবি, ৬ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কক্সবাজারে আগমন ও জনসমাবেশের প্রস্তুতি উপলক্ষ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভা শেষে বাড়িতে ফেরার পথে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের বারাইয়াকাটা এলাকায় র‌্যাব সদস্যরা ইউপি চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুর ও তার সঙ্গীয় দলীয় ৪ নেতাকর্মীদের আটক করে। রাজাখালী বদরউদ্দিন পাড়ায় র‌্যাব সদস্যরা গিয়ে অভিযান চালিয়ে কোন অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি। মধ্যরাতে চেয়ারমানের সাথে আটক অপর দলীয় ৪ নেতাকর্মীকে র‌্যাব সদস্যরা ইউনিয়নের বকশিয়া ঘোনা এলাকায় গিয়ে ছেড়ে দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে অস্ত্র উদ্ধারের নামে চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুরকে ফাঁসিয়েছে। পরে র‌্যাব ৭’র কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে অস্ত্র উদ্ধারের নাটক সাজিয়েছে।

র‌্যাব ৭ সূত্রে জানায়, রবিবার (৩০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের বারাইয়াকাটা এলাকা থেকে ১টি পিস্তল ও ২ রাউন্ড গুলিসহ হাতেনাতে আটক করে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের বদিউদ্দীন পাড়া এলাকার মৃত কাছিম আলীর পুত্র ছৈয়দ নূরকে। পরে তার দেয়া তথ্য মতে, র‌্যাব অভিযান চালিয়ে ১টি এসএমজি (অটোমেটিক সাব মেশিন কারবাইন), ১টি রিভলভার, ১টি ওয়ান শুটার গান ও ৫  রাউন্ড রিভলবারের গুলি উদ্ধার করে বলেও জানিয়েছেন র‌্যাবের সিনিয়র এসপি মিফতানুর।

১ মে সন্ধ্যা ৭টায় র‌্যাব ৭’র সদস্যরা র‌্যাবের ৭টি গাড়িবহর নিয়ে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে চেয়ারম্যান ছৈয়দ নুরকে পেকুয়া থানায় নিয়ে আসে। পরে চট্টগ্রাম র‌্যাব ৭’র বিজিবি সদস্য ডিএমবি জিসিইউ হারুনুর রশিদ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জহিরুল ইসলাম খান পার্বত্যনিউজকে জানান, অস্ত্র উদ্ধারের ব্যাপারে র‌্যাব সদস্য বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করে এবং জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন