Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

২৮ মাস বন্ধ বেতন: রাজস্থলীর ১৩ প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের মানবেতর জীবন যাপন

rajoctoli-pic-300x160

রাজস্থলী প্রতিনিধি:

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার রাজস্থলী উপজেলায় ১৩টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৮ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে শিক্ষকদের বেতন। দীর্ঘ এ সময়ে বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন এসব বিদ্যালয়ে নিয়োজিত শিক্ষররা।

জানা যায়, বেতন বন্ধ থাকা বিদ্যালয়গুলো হল শীলছড়ি নোয়াপাড়া, বগাছড়ি পাড়া, ছাবছড়া পাড়া, বুংবাইদং, খ্যংদং পাড়া, গাইন্দ্যা নোয়া পাড়া, খ্রোরাইম্ররং পাড়া, রোয়াসে পাড়া, দোছড়ি পাড়া, ধনুছড়ি, আড়াছড়ি, জীংম্ররং, বড় পাড়া এলাকায়। এসব প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করনের দাবী করেছেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকরা। বর্তমানে বেতন ভাতা না পাওয়ায় মানবেতর জীবন কাটতেছে তাদের। গত ২ বছর ৪ মাস ধরে তাদের বেতন ভাতা বন্ধ আছে বলে জানান শিক্ষকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজস্থলী উপজেলার বিদ্যালয়গুলো ২০০৯ সাল থেকে ইউএনডিপি-সিএইচটিডিএফ প্রকল্পের অর্থায়নে মৌলিক শিক্ষা সহায়তা দান প্রকল্প হিসেবে চালু করে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। ২০১৫ সালের জুন মাসে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়। প্রকল্পটি চালু অবস্থায় বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ করনের অন্তর্ভুক্ত করার কথা ছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ করা হয়নি। তার আগে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতনভাতা বন্ধ হয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা জানিয়েছেন, রাজস্থলী উপজেলার ১৩টি বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এতে এসব বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাথমিক শিক্ষার ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি বেতন ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন কর্মরত শিক্ষকরা। কয়েকজন শিক্ষক এ প্রতিবেদককে বলেন, তারা বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ ও চাকুরী বেতনভাতা রাজস্ব খাতে হস্তান্তর হওয়ার আশায় কেবল ৪৭০০ (চার হাজার সাতশত) টাকা মাসিক সম্মানী নিয়ে চাকুরীতে যোগদান করেন। কিন্তু বিগত বছর পর্যন্ত অল্প বেতনের চাকুরী করার পরও বিদ্যালয়গুলো আজও জাতীয়করণ করনে আওতায় আনা হয়নি। তাদের বেতনভাতাও রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত হয়নি। বর্তমানে তাদের বেতন ভাতাও বন্ধ হয়ে গেছে। গত ২৮ মাস ধরে বেতন ভাতা না পাওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। এ অবস্থায় পাঠদান চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

এদিকে বিষয়টি মানবিক দিক বিবেচনা করে ঐসব বিদ্যালয় অবিলম্বে জাতীয়করণ সহ শিক্ষকদের চাকুরী ও বেতন ভাতা রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তির জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবী জানিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন