২০১৫ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য প্রকাশ করলো ইউপিডিএফ

‘১৪৩ জন নেতা-কর্মী-সমর্থক গ্রেফতার, যৌন নির্যাতনের শিকার ৩৩ জন পাহাড়ি নারী’

বিবৃতি

স্টাফ রিপোর্টার:

‘২০১৫ সালে ইউপিডিএফ’র ১৪৩ জন নেতা-কর্মী-সমর্থক গ্রেফতার, ৩৫ জনকে শারীরিক নির্যাতন, একটি বৌদ্ধ বিহারসহ ১০৩টি বাড়িতে তল্লাশির ঘটনা ঘটেছে। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩৩ জন পাহাড়ি নারী। এছাড়া গণতান্ত্রিক সভা-সমাবেশে বাধাদান এবং সেটলার বাঙালি কর্তৃক পাহাড়িদের উপর ১৩টি হামলা ও বেশ কয়েকটি ভূমি বেদখল চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে’।

ইউপিডিএফ-এর মানবাধিকার পরিবীক্ষণ সেলের প্রধান এডভোকেট রিপন চাকমা ৪ জানুয়ারি ২০১৬ সোমবার সংবাদ মাধ্যমে এক বিবৃতির মাধ্যমে ২০১৫ সালের পার্বত্য চট্টগ্রামে মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত  এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য প্রকাশকালে রিপন চাকমা ইউপিডিএফের উপর নিষ্ঠুর রাজনৈতিক দমনপীড়ন চলছে উল্লেখ করে বলেছেন, ২০১৫ সালে নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনের ১৪৩ জন নেতা-কর্মী সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে স্কুল-কলেজের ছাত্র/ছাত্রীও রয়েছেন।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে অনেকে ছাড়া পেলেও বর্তমানে ইউপিডিএফ নেতা দেবদন্ত ত্রিপুরা, প্রতীম চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম নেতা জিকো ত্রিপুরা, পিসিপি নেতা নিকাশ চাকমাসহ আরো বেশ ক’জন জেলে অন্তরীণ রয়েছেন। মূলত: ‘অবৈধ অস্ত্র রাখা’, ‘চাঁদাবাজি”, ‘ভাঙচুর’ ও ‘সরকারী কাজে বাধা দেয়ার’ মতো মিথ্যা অভিযোগে ও হয়রানি করতে তাদের আটক করা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

রিপন চাকমা বিবৃতিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে মানবাধিকার পরিস্থতির উন্নতির জন্য ইউপিডিএফের উপর দমনপীড়ন বন্ধ ও সমাবেশের অধিকার প্রদানসহ ৬ দফা সুপারিশ তুলে ধরেন।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: ইউপিডিএফ, পার্বত্য চটগ্রাম, বিবৃতি
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন