Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

১৭ গুলিবিদ্ধ ও আগুনে পোড়া রোহিঙ্গা চমেকে চিকিৎসাধীন: জিরো পয়েন্টে কাঁদছে মানবতা


ডেস্ক নিউজ:
মিয়ানমারে টানা সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ, আগুনে ঝলসে যাওয়াসহ বিভিন্নভাবে গুরুতর আহত প্রায় ১৭ জন রোহিঙ্গাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সীমান্তের ওপারে নতুন করে সহিংসতা শুরুর পর কয়েকদিনের মধ্যে গুরুতর আহত এসব রোহিঙ্গাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার থেকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে।

সর্বশেষ মঙ্গলবার দুই রোহিঙ্গাকে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে মংডুর তুমব্রু এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের মেয়ে খালেদা আকতার (১৭) ও ডাংশার নেমাই এলাকার আবদুর রশিদের ছেলে মামুনুর রশিদকে (১৯) ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। মামুনুর রশিদের মুখে আগুনে পুড়ে যাওয়ার ক্ষত রয়েছে।

এছাড়া গত সোমবার কক্সবাজার থেকে আনা হয়েছে মিয়ানমারের মংডু থানার দিয়াতলী এলাকার মো. আলীর ছেলে জোনয়েদ (১৫), একই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে জয়নাত উল্লাহ ও হোসেন আহমদের ছেলে খালেক হোসেনকে (২৭)। গত রবিবার দিনগত রাতে আনা হয় আগুনে পোড়া নুরুল হাকিম (২৬) ও পারভেজ (২০), গুলিবিদ্ধ মামুনুর রশিদ (২৭), সাকের (২৭), সাদেক (২০), জাহেদ (২০), নুরুল আলম (১৫), আবুল কাসেম (২০) ও নুরুল আমিনকে (২২)। একইদিন সকালে চমেকে আনা হয়েছিল আরও চার রোহিঙ্গাকে। এদের মধ্যে রয়েছেন জিয়াবুল (২৭), মো. ইলিয়াছ (২০), মো. তোহা (১৬) ও মোবারক হোসেন (২৫)।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক দিদার উল আলম, মায়ানমার ঘটনার পর চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে রোহিঙ্গারা পালিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ, আগুনে ঝলছে যাওয়াসহ অনেকেই চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। গত কয়েকদিন ধরেই প্রায় ১৭ জনের উপরে চমেকে চিকিৎসা চলছে বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে কক্সবাজার ডিজিটাল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মংডুর নাইছিদং গরিপাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে গুলিবিদ্ধ সাইফুল আমিন (২৮), মগনামার আবুল হোসেনের ছেলে নুরুল আমিন (৩০), বুচিদংয়ের মো. হাশিম (২২), ওসমান গণি (৩৩), জোবায়ের (৩২), হাকিম উল্লাহ এবং আহত শামসুল আলমের ছেলে হামিদুল হক (১১) ও সাবেকুর নাহার (৯)।

জিরো পয়েন্টে কাঁদছে মানবতা
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর তাণ্ডব থামছে না। প্রতিদিনই নিপীড়ন চলছে একের পর এক গ্রামে। জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে ঘর-বাড়ি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। পাখির মতোই গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে সাধারণ রোহিঙ্গাদের।

হেলিকপ্টার থেকে ফেলা হচ্ছে বোমা-মর্টালশেল। আর এ কারণে নিরীহ রোহিঙ্গারা জীবন বাঁচাতে বংলাদেশের দিকে ছুটছেন। কিন্তু সীমান্তে কড়াকড়ি থাকায় তারা সহজেই বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারছেন না। তারপরও বিভিন্ন কৌশলে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছেন রোহিঙ্গার।

এদের ৪৬৮ জনকে মঙ্গলবার ফেরত পাঠানো হয়েছে। এই কড়াকড়ির কারণে সীমান্তের ‘জিরো পয়েন্টে’ রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বাড়ছেই। অনাহারী-অর্ধাহারী ওই মানুষগুলো খোলা আকাশের নিচে এখন মানবেতর জীবন পার করছেন। মঙ্গলবার কক্সবাজারের উখিয়া ও বান্দরবানের বিভিন্ন জায়গা দিয়ে আসা রোহিঙ্গারা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

এছাড়া টেকনাফ পৌর এলাকার ট্রানজিট জেটি থেকে রাখাইনের বিভিন্ন গ্রাম পুড়িয়ে দেয়ার দৃশ্য দেখা গেছে। এদিকে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাওয়া ছবি দেখে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার প্রমাণ পেয়েছে। সংস্থাটি এহেন নির্যাতন বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

যুগান্তরের কক্সবাজার প্রতিনিধি সায়ীদ আলমগীর জানান, তিনি রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে ওই রাজ্যের ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা জানতে পেরেছেন। তাকে উখিয়ার পালংখালী সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসা আহমদ কবির নামের একজন বলেন, ‘সোমবার সেনাবাহিনীর একটি দল আমাদের গ্রামে এসে অনেককে ধরে ফেলে। চোখের সামনে জ্বালিয়ে দেয় ঘর-বাড়ি। রাতের আঁধারে তাদের কাছ থেকে আমরা কয়েকজন পালাতে সক্ষম হই। এরপর সীমান্তে চলে আসি।’

টেকনাফের উলুবনিয়া সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে মঙ্গলবার ভোরে বাংলাদেশে প্রবেশ করে চার রাখাইন পরিবার। চাঁদের গাড়িতে করে উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে ঢোকার জন্য অপেক্ষা করছেন তারা। এদেরই একজন রাখাইন রাজ্যের শিলখালী গ্রামের মৃত আবদুল মজিদের স্ত্রী রফিজা খাতুন (৫০)। তিনি জানিয়েছেন, ‘সোমবার সন্ধ্যায় আমাদের গ্রামে বাড়ি-ঘরে আগুন দেয়া হয়। কোনোমতে জান নিয়ে পালিয়ে এসেছি।’

একই গ্রামের আবিদা খাতুন বলেন, ‘আমার চোখের সামনে স্বামীকে ধরে নিয়ে গেছে মিলিটারিরা। আমার ৩ সন্তান নিয়ে কোনোরকম পালিয়ে এসেছি।’

পালিয়ে আসা মোস্তাক আহমদ নামের একজন বলেন, ‘আমার ছয় ছেলের তিনজনকে একসঙ্গে ধরে নিয়ে গেছে সেনাবাহিনী। এক নাতিকে চোখের সামনে গলা কেটে হত্যা করেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আশির দশকে মিয়ানমার জান্তা সরকারের অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন দেখেছি। নব্বই দশকের বর্বরতাও দেখেছি। কিন্তু এবারের মতো এত ভয়াবহ বর্বরতা আগে কখনও দেখিনি। কয়েকদিন ধরে রাখাইন রাজ্যে যেভাবে সাধারণ মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে, তাতে মনে হয় রাজ্য মরুভূমি করে ছাড়বে ওরা।’

এদিকে ঘুমধুম রেজু মৌজার চিকনছড়া, মনজয়পাড়া, ফাত্রাঝিরি, লাকড়িছড়া বাজার দিয়ে শত শত রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন। জিরো পয়েন্টে খাবার ও পানীয় সংকটের কারণে বাধ্য হয়ে তারা এদেশে ঢুকে পড়ছেন বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন ক্যাম্প ও বাসাবাড়িতে অবস্থান নেয়া রোহিঙ্গারা।

কুতুপালং গ্রামের সাইফুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন জানান, ডব্লিউএফপি ও ইউএনএইচসিআরের সহযোগিতায় টমটম ও সিএনজিযোগে রেজু আমতলী থেকে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঢুকছেন। অনেকে আহত হয়ে এমএসএফ হল্যান্ড হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন।

নিজ দেশে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গারা জিরো পয়েন্টেও নিষ্পেষিত হচ্ছেন। তাদের গরু-ছাগলসহ নগদ টাকা-পয়সা দুর্বৃত্তরা লুট করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সীমান্তের একাধিক পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের আকাশে কিছুক্ষণ পরপর একটি হেলিকপ্টার চক্কর দিয়ে পুনরায় মংডু শহরের দিকে চলে যাচ্ছে। রাখাইনে সহিংসতার পর থেকেই এভাবে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।

মঙ্গলবার দুপুরে একটি হেলিকপ্টার চক্কর দেয়ার পরপরই সীমান্তের কাছাকাছি রাখাইনের বিভিন্ন জায়গায় আগুনের ধোঁয়া দেখা যায়। শোনা যায় বিকট শব্দের গুলি ও মর্টারশেলের আওয়াজ।

বিজিবি কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) লে. কর্নেল আনোয়ারুল আজিম বলেন, ‘মঙ্গলবার রাখাইনের আকাশে একটি হেলিকপ্টার দেখা গেছে। এটি অবস্থান করে চলে যাওয়ার পর তাণ্ডবের বেশ কিছু আওয়াজ সীমান্তের এপারে এসেছে। এসব কারণে রোহিঙ্গারা সীমান্তের দিকে আসছেনই।’

৪৬৮ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত 

কক্সবাজার প্রতিনিধি আরও জানান, উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় ৪৬৮ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি। সোমবার রাতে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিলেন।

মঙ্গলবার সকালে নাফ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এসএম আরিফুল ইসলামের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘গত ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত প্রায় এক হাজার রোহিঙ্গাকে আটকের পর মানবিক সহায়তা দিয়ে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে।’

টেকনাফ প্রতিনিধি নুরুল করিম রাসেল জানান, মঙ্গলবারও রাখাইনে গ্রামের পর গ্রাম আগুন দিয়েছে সেনারা। আকাশ থেকে হেলিকপ্টারে মর্টার ও মেশিনগানের গুলি ছুড়ে নিরীহ রোহিঙ্গাদের হত্যা করা হচ্ছে। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে পাওয়া ভিডিওচিত্রে নির্যাতনের দৃশ্য দেখা গেছে। মঙ্গলবার টেকনাফ পৌর এলাকার ট্রানজিট জেটি থেকে শত শত লোক রাখাইনের পেরামপুরু, নয়াপাড়া, মংডু কাইন্দাপাড়া, টামবাগান, দারোগাপাড়া গ্রাম পুড়িয়ে দেয়ার দৃশ্য দেখেছেন।

এদিকে বিজিবির কড়াকড়ি সত্ত্বেও টেকনাফ সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রাতের অন্ধকারে কিছু কিছু রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে। তাদের মধ্যে যারা ধরা পড়ছেন বিজিবির হাতে তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে ওপারে।

রাখাইনে শুধু আগুন আর ধ্বংস- হিউম্যান রাইটস ওয়াচ : মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) জানিয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ঘর-বাড়ি জ্বলছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাওয়া ছবিতে তার সত্যতা মিলেছে। মঙ্গলবার নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় নিউইয়র্কভিত্তিক এ সংস্থাটি।

এইচআরডব্লিউর বিবৃতিতে বলা হয়, স্যাটেলাইটে ধরা পড়া ছবি থেকে রাখাইনের অন্তত ১০টি জায়গায় অগ্নিসংযোগ করার প্রমাণ মিলেছে। যেসব জায়গায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে তা প্রায় ১০০ কিলোমিটারব্যাপী বিস্তৃত, এটা গত বছরের অক্টোবর ও নভেম্বর মাসের চেয়েও পাঁচগুণ বড়। ওই সময় স্যাটেলাইটের ছবি বিশ্লেষণ করে দেড় হাজার বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার তথ্য পাওয়া গিয়েছিল।

মানবাধিকার সংস্থাটি জানায়, ২৫ আগস্ট দুপুরে রাতেডং টাউনশিপের জেইডি পিন এবং কোয়ে তান কাউক গ্রামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এরপর ২৮ আগস্ট সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মংডু শহর এবং মংডু টাউনশিপের আটটি গ্রামে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

রাখাইনের আরও বহু জায়গায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটলেও স্যাটেলাইটে তার দৃশ্য ধরা পড়েনি।

এ পরিস্থিতিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা স্বাধীনভাবে পর্যবেক্ষণ এবং মানবাধিকার হরণের অভিযোগ যাচাই করতে অবরুদ্ধ রাখাইনে প্রবেশাধিকার দিতে মিয়ানমার সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ। সংস্থাটির এশিয়া অঞ্চলের উপপরিচালক ফিল রবার্টসন বলেন, ‘নতুন স্যাটেলাইট তথ্যের আলোকে দাতা ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর উদ্বিগ্ন হওয়া এবং মিয়ানমার সরকার যেন রাখাইন রাজ্যে চলমান ধ্বংসের মাত্রা প্রকাশ করে তার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া উচিত।’

বৌদ্ধরাও রাখাইন ছেড়ে পালাচ্ছে : রোহিঙ্গাদের টার্গেট করে মিয়ানমার সেনা সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করলেও আতঙ্কের মধ্যে আছে সেখানে বসবাসকারী বৌদ্ধরাও। এবিসি নিউজ জানায়, রাখাইনে উত্তেজনার মধ্যে বৌদ্ধরাও বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। রাখাইনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকা থেকে পালিয়ে তারা রাজ্যের রাজধানী সিত্তের দিকে যাচ্ছে।

রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলায় আহত জিউ পিয়ো অং নামে একজন বলেন, ‘আমি নিজেকে নিয়ে শঙ্কিত নই। তবে আমি আমার পরিবার নিয়ে বেশ শঙ্কিত।’ ৭০ বছর বয়সী সান খিনে পিউ আরও বলেন, ‘এ সংঘাতে আমার পুলিশ কর্মকর্তা ছেলেকে হারিয়েছি। আমি বৌদ্ধ হওয়ায় এর জন্য কাকে দোষারোপ করব?’

উল্লেখ্য, ২৪ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে পুলিশ ফাঁসি ও সেনা অবস্থানে হামলা চালায় একটি বিদ্রোহী গ্রুপ। এর পরই রোহিঙ্গাদের ওপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন। এ কারণে প্রতিদিনই বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে আসছেন অসংখ্য রোহিঙ্গা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন