স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর দুই সৎ ভাইয়ের বিচার চাইলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কালা মিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, মাটিরাঙ্গা:

দুই সৎ ভাইয়ের বিরুদ্ধে মেয়েকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টাসহ সহায় সম্পত্তি দখলের চেষ্টার অভিযোগ করেছেন ৭১‘র রনাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কালা মিয়া। তাকে ষড়যন্ত্রমুলকভাবে জেলে পাঠিয়ে তার সাত মাসের অন্ত:স্বত্তা স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ারও অভিযোগ করেন দুই সৎ ভাইয়ের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিনেও কোথাও কোন বিচার না পেয়ে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি তার উপর এসব অন্যায়-অবিচারের বিচার দাবি করেন।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার তবলছড়ি বিল্ডিং ঘরে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কালা মিয়া বলেন, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে দেশকে শত্রুমুক্ত করতে পারলেও আমার দুই ভাইয়ের নির্মম অত্যাচার থেকে আমার পরিবার ও স্ত্রী-কন্যাদের আমি রক্ষা করতে পারিনি।

জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে মাটিরাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মনছুর আলী, তবলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: আবদুল কাদের, খাগড়াছড়ি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি মো: হারুন মিয়া, তবলছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো. কামাল হোসেন মেম্বার, সন্তান কমান্ড নেতা মো: সাদ্দাম হোসেন ও মো. মামুননুর রশীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, এক পর্যায়ে আমি জীবনের প্রয়োজনে আমার তিন কণ্যাকে আমার দুই সৎ ভাই ও বাবার কাছে রেখে আমি আমার  স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে ঢাকায় চলে গেলে আমার তিন মেয়ের উপর নেমে আসে অবর্ননীয় অত্যাচার। এক পর্যায়ে আমার বাবা মারা গেলে আমার সম্পত্তির লোভে দুই সৎ ভাই মো. মনির আহাম্মদ ও মো. কবির আহাম্মদ আমার মেয়েদের উপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। এসব করেও তারা শান্ত হয়নি। একপর্যায়ে আমার এক মেয়েকে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে। এসম আমার অগ্নিদ্বগ্ধ মেয়েকে ঘর থেকে বের করে রাস্তায় ফেলে রাখে। সেখান থেকে তুলে নিয়ে জনৈক আবদুল জলিল আমার মেয়েকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কালা মিয়া বলেন, আমি দেশের জন্য যৌবন বির্সজন দিয়েছি। কিন্তু আজও আমি এসবের বিচার পাইনি। স্বাধীনতা লাভের ৪৬ বছর পর এ মুক্তিযোদ্ধা তার পরিবারের উপর নির্মম নির্যাতন ও অত্যাচারের জন্য দুই সৎ ভাই মো. মনির আহাম্মদ ও মো. কবির আহাম্মদের বিচার দাবি করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন