সাজেক ইউপি‘র সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের ১,৮৮০ ভোট বাতিলের অভিযোগ
সাজেক প্রতিনিধি:
গত ৪ই জুন অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ ধাপের আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার দেশের সর্ববৃহৎ ইউনিয়ন ৩৬নং সাজেক ইউপি’র ৯টি ওয়ার্ডে শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে সরক্ষিত মহিলা সদস্য নির্বাচনের ভোটে সর্বমোট ভোট কাস্টিং ৭,৮১৮ভোটের মধ্যে ১,৮৮০ ভোট বাতিলের অভিযোগ করেন এক মহিলা প্রার্থী।
অনুষ্ঠিত সাজেক ইউপি নির্বাচনে ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে তিন জন মহিলা সদস্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচনে বেসরকারি ভাবে পাওয়া এদের প্রাপ্ত ভোট হচ্ছে, সুশিলা চাকমা হেলিকপ্টার প্রতিক নিয়ে ২,৮৮২, সুমিতা চাকমা সূর্যমুখি ফুল প্রতিক নিয়ে ১,৮৮০, এ্যানি চাকমা বই প্রতিক নিয়ে ১,১৭৬, বাতিল ভোট ১,৮৮০টি।
বাতিলকৃত ভোটের বিষয়ে সুমিতা চাকমা অভিযোগ করে বলেন, “আমি নির্বাচনে ১,৮৮০ ভোট পেলেও বাতিলকৃত ১,৮৮০টি ভোট আমার, কারণ আমরা নির্বাচনে তিনজন প্রার্থী তিনটি প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি। কিন্তু ভোটের ব্যালট পেপারে প্রতীক ছিল দশটি যার কারণে আমার নির্বাচনী এলাকার বেশির ভাগ ভোটার বয়ষ্ক ও কম শিক্ষিত হওয়ার কারণে আমার সমর্থক ও ভোটাররা আমার নির্বাচনী প্রথিক সূর্যমুখী ফুল মনে করে ব্যালটে অতিরিক্ত প্রতিক দেওয়া তাল গাছ প্রতীকটিকে আমার প্রতীক মনে করে ১,৮৮০টি ভোট তাল গাছ প্রতীকে দিয়ে দেয়। যার ফলে আমার ১,৮৮০টি ভোট বাতির করে দেয় প্রিজাইডিং অফিসাররা। আমি এ বিষয়টি নিয়ে সাজেক ইউপি নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা কে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। বিষয়টি আমি রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাষককেও অবিহিত করেছি তিনি আমাকে এর সুষ্ঠ সমাধানের আশ্বাস দেন। আমি আপনাদের মাধ্যমে সরকারের উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষের নিকট সুষ্ঠ সমাধান চান তিনি।
এ বিষয়ে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচন কমিশনার অজয় চক্রবর্তী বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি কিন্তু ভোটাররা যদি প্রত্যাশিত প্রতীক ব্যতিত অন্য প্রতীকে ভোট দেয় সেটি বাতিল বলে গণ্য হবে ।
এলাকায় বিষয়টি নিয়ে ভোটারদের মাঝে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে এবং ভোট বাতিলের বিষয়ে সুমিতার সমর্থকদের মাঝে ক্ষোভের বিরাজ করছে বলে জানা যায়।