সব বাধা পেরিয়ে আধুনিক কক্সবাজার-রামু গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাবো

ramu pic mp komol 13.4

রামু প্রতিনিধি:

কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল বলেছেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি জামায়াত জোট দেশে বোমা হামলা, সন্ত্রাস, নাশকতা পথ বেছে নিয়েছে। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এসব দৃষ্কৃতিকারীদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।

রামুতেও পহেলা নববর্ষের অনুষ্ঠানে বোমা হামলার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিলো। কিন্তু সেই পরিকল্পনাকারীদের অন্যতম হোতা এখন পুলিশের কাছে ধরা পড়েছে। এধরনের সন্ত্রাসী অপকর্মে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সব বাধা অতিক্রম করেই আধুনিক কক্সবাজার ও রামু গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাবো। চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকলে রামু হবে বাংলাদেশের মডেল উপজেলা। আগামী ৩ বছরে এখানে দৃশ্যপট পাল্টে যাবে। এটা হবে আধুনিক নগরী। শিক্ষা, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য, অবকাঠামোগত উন্নয়নে রামু অনেক এগিয়ে গেছে। স্বাধীনতার ৪৩ বছরে এখানে পাঁকা সড়ক ছিলো ৪৩ কিলোমিটার। আর বিগত ৩ বছরে নির্মিত হয়েছে ২৮ কিলোমিটার। শীঘ্রই ২০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে রামুতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। অচিরেই রামুতে বিকেএসপি, ক্যাডেট কলেজ ও রেল লাইনের কাজ শুরু হবে।

রামু উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন আয়োজিত সন্ত্রাস, নৈরাজ্য জঙ্গিবাদ ও মাদক বিরোধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল এসব কথা বলেন।

বৃহষ্পতিবার বিকাল তিনটায় রামু চৌমুহনী স্টেশন চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন, রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রিয়াজ উল আলম। তিনি বলেন, কক্সবাজার-রামুতে সাংসদ কমলের নেতৃত্বে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়িত হচ্ছে। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে আগামীতেও আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমলকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করতে হবে। যারা বোমা মেরে মানুষ হত্যার পথ বেছে নিয়েছে তাদের ঠাঁই রামুতে হবে না বলেও তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

সমাবেশের শুরুতে বিগত নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মো. ইসমাঈল নোমান এবং কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন বিএনপির সহ সভাপতি নুরুল ইসলাম সাংসদ কমল, রামু উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জাফর আলম চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মুসরাত জাহান মুন্নীর হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।

আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার ফরিদ আহমদের সভাপতিত্বে ও ফতেখাঁরকুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছসেকব লীগের সভাপতি আজিজুল হক আজিজের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জাফর আলম চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও রামু উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মুসরাত জাহান মুন্নী, কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য শামসুল আলম, ফতেখাঁরকুল ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম, জোয়ারিয়ানালা ইউপি চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স, রাজারকুল ইউপি চেয়ারম্যান মুফিজুর রহমান মুফিজ, গর্জনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু মো. ইসমাঈল নোমান, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইউনুচ ভূট্টো, কাউয়ারখোপ ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ, রশিদনগর ইউপি চেয়ারম্যান এমডি শাহ আলম, রামু উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নীতিশ বড়ুয়া, রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এডভোকেট মোজাফ্ফর আহমদ হেলালী, সাধারণ সম্পাদক তপন মল্লিক, উপজেলা যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, কক্সবাজার জেলা মৎস্যজীবী লীগের সহ সভাপতি আনছারুল হক ভূট্টো, আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হক, সৈয়দ মোহাম্মদ আবদু শুক্কুর, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, কাউয়ারখোপ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাধারণ সম্পাদক মনজুর আলম সোহেল, সাংসদ কমলের ব্যক্তিগত সহকারী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবু বক্কর ছিদ্দিক, রামু উপজেলা তাঁতীলীগের সভাপতি নুরুল আলম জিকু, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমদ, রামু উপজেলা শ্রমিকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি, রামু উপজেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের আহ্বায়ক মিজানুল হক রাজা, চাকমারকুল ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ছৈয়দ নুর মেম্বার, যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল হক বাবু, রামু উপজেলা ছাত্রলীগ সাদ্দাম হোসেন, মোহাম্মদ নোমান, স্বেচ্ছসেবকলীগ নেতা আরিফ খান জয় প্রমুখ।

সমাবেশে সাংসদ কমল আরও বলেন, বিগত ৩বছরে রামুর শিক্ষাক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। যা স্বাধীনতার ৪৩ বছরে হয়নি। স্বাধীনতার পূর্বে রামুতে উচ্চ বিদ্যালয় ছিলো ৫টি। বিগত ৪৩ বছরে এ সংখ্যা ছিলো ১২টি। অথচ বিগত ৩ বছরে রামুতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে আরও ১০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এর সুফল ভোগ করবে রামুর ১১ ইউনিয়নের ছাত্রছাত্রীরা। বর্তমান সরকার শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের সঠিক শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সততা, মেধার সমন্বয় ঘটিয়ে নিজেকে আধুনিক ও কর্মক্ষেত্রে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এখানকার ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা উন্নয়নের আমি নিরলসভাবে ভূমিকা রাখতে চাই। প্রয়োজনে কোন ছাত্রছাত্রী উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য বিদেশে পড়াশুনার জন্য যেতে চাইলে আমি বিমান টিকেটসহ ব্যয়ভার বহন করবো।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন