সবার নজর এড়িয়ে যাবেন বীরাঙ্গনা ‘হ্লাম্রাসং মারমা’রাই
নিজস্ব প্রতিবেদক:
মুক্তিযুদ্ধের সময় সমতলের ন্যায় পাহাড়েও নৃশংস আর অমানবিক অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছিল।দীর্ঘদিন চাপা পড়ে আছে সেসব ঘটনা। খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে বীরাঙ্গনা ‘হ্লাম্রাসং মারমা’ তাদেরই একজন। ১৬ ডিসেম্বর পুরো জেলাজুড়ে সরকারী-বেসরকারী উদ্যোগে অনেক আনুষ্ঠানিকতা হবে। কিন্তু সবার নজর এড়িয়ে যাবেন ’৭১ নির্যাতিত ‘হ্লাম্রাসং মারমা’রাই।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সম্ভ্রমহারানো এ নারীকে স্বচক্ষে দেখতে গিয়েছিলেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা জুয়েল চাকমা। সাবেক এই ছাত্রনেতা শুক্রবার দুপুর দেড়টায় হ্লাম্রাসং মারমার বাড়িতে গিয়ে জেলা পরিষদ এর পক্ষে সরেজমিনে তার খোঁজ খবর নেন এবং হ্লাম্রাসং মারমাকে শীত বস্ত্র, লুঙ্গি, বালিশ, বেডশীট, চাদর ও নগদ টাকা প্রদান করেন।
এসময় জুয়েল চাকমা বীরঙ্গনা হ্লাম্রাসং মারমাকে বলেন, এ সবের কৃতিত্ব সম্পূর্ণ সরকারের। পার্বত্য জেলা পরিষদ সরকারের একটা মাধ্যম মাত্র। একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারই মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের যথোপযুক্ত সম্মান দিতে জানে।
জুয়েল চাকমা’র ফেইসবুক স্ট্যাটাস থেকে জানা যায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই মহীয়সী নারী ‘হ্লাম্রাসং মারমা’র খোঁজ খবর নিচ্ছিলেন। বিভিন্ন মিডিয়া আর সরাসরি মাধ্যমে তার খবর নিয়ে আসছেন। কোন প্রকার প্রচার কাতরতা বা আত্ম জাহিরের মানসিকতার বিপরীতে ‘হ্লাম্রাসং মারমা’র আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধাবনত চিত্তে পদধূলি নেবার মানসেই তিনি তার কাছে ছুটে গিয়েছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীর সাথে পরামর্শ করে তিনি এসব বঞ্চিত বীরাঙ্গণা ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আরো বেশী দায়িত্ববান হতে আশাবাদী।