Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

সন্তু লারমার অনুমতি না পাওয়ায় খাগড়াছড়ির তিনটি সড়কের নির্মাণ প্রকল্প বাতিল

Khagrachari-Picture02-16-01-2017-1-copy-1-300x181
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তু লারমা অনুমতি না দেয়ায় খাগড়াছড়ি জেলার ‘সিএইচটি’ সিলেক্টেড তিনটি সড়কের নির্মাণ প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। এমন অধিকতর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নমুখী কাজ ব্যাহত হওয়ায় জনমনে হতাশা ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

পাহাড়ি এ সড়কগুলোতে শুকনো মৌসুমে চাঁদের গাড়ী ও মোটরসাইকেলে যাতায়াত করলেও বর্ষা মৌসুমে মাটির এ সড়কপথে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয় এবং যানবাহন  চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে হয় স্থানীয় অধিবাসীদের। সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন এসব এলাকার বাসিন্দারা। প্রকল্পগুলো বাতিল হওয়ায় এসব এলাকায় বসবাসকারী প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষের দীর্ঘ দিনের দুর্ভোগের অবসান ক্ষীণ হয়ে উঠছে। সড়কগুলো নির্মাণ করার দীর্ঘ দিনের যে দাবী তাও ভেস্তে যাচ্ছে।

11-1

সংশ্লিষ্ট সূ্ত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীছড়ি থেকে বর্মাছড়ি ১৪.৮ কি. মি., মাটিরাঙ্গা  উপজেলার বেলছড়ি থেকে অযোদ্ধা ৯.৭ কি. মি. ও খাগড়াছড়ি থেকে সিঙ্গিনালা ২১ কি. মি. সড়ক নির্মাণকাজ প্রকল্পেরর জন্য প্রায় দু’শত কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিলো। এশিয়ান ডেভলাপম্যান্ট ব্যাংক এডিবি’র অর্থায়নে এলজিডি এ সড়কগুলো নির্মাণের উদ্যোগ নিয়ে সড়কের সার্ভের কাজসহ বেশকিছু কাজ সম্পন্ন করে।

তবে পার্বত্য চুক্তিমতে এলজিডির এ সমস্ত উন্নয়ন কাজে আঞ্চলিক পরিষদের অনুমোদন প্রয়োজন হওয়ায় সড়ক নির্মাণে আঞ্চলিক পরিষদের অনুমোদন চাওয়া হয়েছিলো। কিন্তু গত ২৮  ফেব্রুয়ারি  আঞ্চলিক পরিষদের নিয়মিত বৈঠকে প্রকল্পটি অনুমোদন না দেওয়াই বরাদ্দকৃত অর্থ বান্দরবন জেলায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এর ফলে আবারো নতুন কোনো প্রজেক্ট না আসলে এ সড়কগুলো নির্মাণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুপার জ্যোতি চাকমা পার্বত্যনিউজকে জানান, লক্ষ্মীছড়ি থেকে বর্মাছড়ি সড়কটি নির্মাণ করা অতীব জরুরী এবং অত্রাঞ্চল বসবাসরত নাগরিকদের দীর্ঘদিনের দাবী। সড়কটি নির্মাণে সরকারের পদক্ষেপ ব্যাহত হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, এ অঞ্চলের জনগণের দুর্ভোগের বিষয়টি চিন্তা করে আঞ্চলিক পরিষদ প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া প্রয়োজন ছিলো।
3

এর আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে লক্ষ্মীছড়ি-বর্মাছড়ি সড়কের মরাচেঙ্গী গুঘাট, ডান্দি ছড়া ও মরাচেঙ্গী ছড়ার উপর তিনটি ব্রিজ নির্মাণের দরপত্র দিয়ে নির্মাণ কাজ শুরুকরে।কিন্তু ব্রিজ তিনটি অসমাপ্ত রেখে ঠিকাদাররা কাজ বন্ধ করে দেন।

একটি সূত্র জানায়, আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফ’র চাঁদাবাজি ও পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় ঠিকাদাররা ব্রিজের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন।

খাগড়াছড়ি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল হক জানান, খাগড়াছড়ি সদর,লক্ষ্মীছড়ি ও মাটিরাঙ্গা উপজেলার  তিনটি সড়কের নির্মাণ কাজ এলজিইডি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে  সড়কের সার্ভে সম্পন্ন করে। তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুমোদন না পাওয়ায় অাপাতত প্রকল্পটি বাতিল করা হয়েছে । লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার অসমাপ্ত তিনটি ব্রিজ অন্য একটি প্রজেক্টের আওতায় আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে অনুমোদন পেলে কাজ শুরু করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন