শিক্ষার আলো ছড়াবে যে বিদ্যালয় সে নিজেই আজ আলোহীন, শিক্ষাবঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয়রা

pry-school-copy

কাপ্তাই প্রতিনিধি:

রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার ওয়াগ্গাছড়া ইউনিয়নের পরিমল চন্দ্র তালুকদার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নির্মাণ হলেও কোন শিক্ষক নিয়োগ না দেয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শিক্ষার আলো হতে বঞ্চিত রয়েছে। বিদ্যালয়ের চারপাশে বন-জঙ্গলে ভরে গিয়ে ভুতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। চারদিকে ময়লা আবর্জনা আর শেওলা-মাকড়সায় একরকম পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে আছে পুরো ভবনটি।

সূত্রে জানা যায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক ৫৮ লাখ ১৩ হাজার টাকা অর্থায়নে চারতলা ফাউন্ডেশনসহ একতলা ভবন (৪কক্ষ) ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে নির্মান কার্যক্রম শেষ করা হয়। নির্মাণ কাজ ২০১৫ সালের ৫ ফেব্রয়ারীতে সমাপ্ত হলেও অদ্যাবদি বিদ্যালয়ে কোন শিক্ষক নিয়োগ বা ডেপুটিশনে শিক্ষক না দেওয়ায় বিদ্যালয়টির কার্যক্রম একেবারে বন্ধ রয়েছে। জানা যায়, জেলা পরিষদ কর্তৃক শিক্ষকের কোন পদ সৃষ্টি না করার ফলে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হচ্ছেনা কোন শিক্ষক নিয়োগ, আর শিক্ষা কার্যক্রম হয়ে পড়েছে বন্ধ। তাই সংশ্লিষ্ট এলাকার শিক্ষার্থীরা শিক্ষার আলো হতে বঞ্চিত হচ্ছে দিনের পর দিনা। বিগত জানুয়ারী মাসে ডেপুটিশনে শিক্ষক দেয়ার জন্য প্রস্তাব করা হলে তাও ব্যার্থ হয়ে যায়।

এব্যাপারে জানতে চাইলে কাপ্তাই নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুল আলম এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, শিক্ষার জন্য বিদ্যালয় নির্মান করেও শিক্ষক না দেয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তাই শীঘ্রই শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের  দৃষ্টি আকর্ষণও করেন তিনি।

এদিকে কাপ্তাই উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার গুলশান আক্তার এ প্রতিনিধিকে জানান, জেলা পরিষদ কর্তৃক শিক্ষক নিয়োগ দেয়া বা পদ সৃষ্টি না হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম চলছে না। যদি ডেপুটিশনের মাধ্যমে কাউকে দেয়া হয় তাহলে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অত্যান্ত সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে স্কুলটি নির্মান করা হলেও অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে স্কুলটি। শিক্ষা কার্যক্রম না চালানোতে বর্তমানে বন-জঙ্গলে বিদ্যালয়টি অভিভাবকবিহীনের মতো পরিত্যাক্ত পড়ে আছে। নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকার দরুন শিক্ষার আলো ছড়ানোর  পরিবর্তে আজ স্কুলটি যেন নিজেই হয়ে আছে আলো বঞ্চিত।

এলাকার সচেতন লোকজন বলেন, অতিদ্রুত এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিযোগ প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। নয়তো দীর্ঘ সময় ধরে স্কুলটি অচল থাকলে ধীরে ধীরে শিক্ষা বঞ্চিত হতে থাকবে অত্র এলাকার ভবিষ্যত প্রজন্মরা। এনিয়ে এলাকার লোক জনের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে বলেও জানায় স্থানীয়রা।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন