লামায় ২৫ হাজার শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন দুপুরে রান্না করা খাবার খাওয়ানো হবে

লামা প্রতিনিধি:

লামা উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়, উন্নয়ন বোর্ডের পাড়াকেন্দ্র ও এনজিও স্কুলের ২৫ হাজার শিশুকে দুপুরে রান্না করা খাবার খাওয়ানো হবে।

পুষ্টি চাহিদা এবং পুষ্টিমানের দিক বিবেচনা করে ও পুষ্টির ঘাটতি মিটানোর জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি স্কুল মিল কর্মসূচির আওতায় এই কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ডব্লিউএফপির ফিল্ড অপারেশন হেড হাফিজা খান।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের এক তারিখ থেকে ২টি, অক্টোবরে ১৬টি ও ডিসেম্বরের মধ্যে উপজেলার ৯০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৯৯টি পাড়া কেন্দ্র ও এনজিও স্কুল গুলোকে এই কর্মসূচির আওতায় আনা হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের স্কুল ফিডিং প্রকল্পের সহকারী পরিচালক মো. আবু সায়েদ জানান, বাংলাদেশের বরগুনা জেলার বামনা ও জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন দুপুরে রান্না করা খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। বাংলাদেশের তৃতীয় জেলা হিসাবে বান্দরবানের লামা উপজেলায় শিশুদেরকে রান্না করা খাবার খাওয়ানো হবে। ১ সেপ্টেম্বরে আন্দারী জামালপুর ও মংপ্রু পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রান্না করা খাবার কার্যক্রম শুরু করার মধ্য দিয়ে ডিসেম্বরের মধ্যে উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদেরকে এই কর্মসূচির আওতায় আনা হবে।

ডব্লিউএফপির প্রোগ্রাম পলিসি অফিসার স্নেহা লতা জানান, পুষ্টি চাল, পুষ্টি তৈল, পুষ্টি ডাল ও সবজি দিয়ে রান্না করা খিচুড়ি সপ্তাহে পাঁচ দিন শিশুদেরকে খাওয়ানো হবে। বৃহস্পতিবারে বিস্কুট প্রদান করা হবে। রান্না করার জন্য প্রতি একশত জন ছাত্র/ছাত্রীর জন্য একজন বাবুর্চি ও বিদ্যালয় প্রতি একজন সহকারী বাবুর্চি ডব্লিউএফপির বেতনে নিয়োগ করা হবে। খাবার খাওয়ার জন্য প্রতিজন শিশুকে টিফিন বক্স ও চামচ প্রদান করা হবে।
উপজেলায় স্কুল মিল প্রোগ্রাম এর কার্যক্রম শুরু করা নিয়ে মঙ্গলবার দিনব্যাপী একতা অডিটরিয়ামে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের স্কুল ফিডিং প্রকল্পের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবু ছাইদ, ডব্লিউএফপির বাংলাদেশের প্রোগ্রাম পলিসি অফিসার স্নেহা লতা, ফারজানা আক্তার, ইকবাল হোসাইন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য মোস্তফা জামাল, ফাতেমা পারুল, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হক, উপজেলা শিক্ষা অফিসার তপন চক্রবর্তী।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন