লামায় র‌্যাবের অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ ৪ সন্ত্রাসী আটক

লামা প্রতিনিধি:

বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের দুর্গম রোয়াজা পাড়ায় নিরাপত্তাবাহিনী ও র‌্যাব-৭ এর সাড়াশি অভিযানে ২৫টি দেশীয় তৈরি বন্ধুকসহ ৪জনকে আটক করেছে।

বৃহস্পতিবার(১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল হতে গভীর রাত পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৭) মিডিয়া ইউং জানিয়েছে।

আটককৃতরা হল, চাইনুং মারমা (৩৬) পিতা- মংচিহ্লা মার্মা, তুইসা মং (৩৬), পিতা- উছা মার্মা, মিফং মার্মা (৪১) পিতা- মৃত চিংফুয়াং মার্মা ও এক্য মার্মা (৪০) পিতা- ছাহ্লাচিং মার্মা, গ্রাম- ত্রিশডেবা বড় মার্মা পাড়া, ফাঁসিয়াখালী, লামা, বান্দরবান।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মিমতানুর রহমান (পিপিএম) শুক্রবার(১৬ফেব্রুয়ারি) সকালে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিং-এ জানান, দীর্ঘদিন যাবত দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় পাহাড়ি সন্ত্রসীরা খুন, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মাদক চোরাচালান, মানুষ অপহরণ ও মানুষ আটক করে মুক্তিপণ আদায়সহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে।

এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম পাহাড়ি এলাকায় ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। দীর্ঘদিনের নিবিড় পর্যবেক্ষন ও গোয়েন্দা তৎপরতার এক পর্যায়ে র‌্যাব-৭ জানতে পারে যে, বান্দরবান জেলার লামা থানাধীন ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বনপুর রাজাপাড়াস্থ দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় কতিপয় সংঘবদ্ধ পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনার উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ অবস্থান করছে।

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতের সময় বাংলাদেশ নিরাপত্তাবাহিনীর আলীকদম জোন ও র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ২৫টি অস্ত্র (১৪টি এসবিবিএল এবং ১১ টি ওয়ানশুটার গান) ও ২,০৩৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, গয়ালমারা, ত্রিশডেবা ও রোয়াজা পাড়া এলাকা সমূহ সন্ত্রাসীদের অভয়রাণ্যে পরিণত হয়েছে। সেখানে নিয়মিত চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলে। প্রায়সময় নিরাপত্তাবাহিনী সেখানে অভিযান চালালেও গভীর পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় সন্ত্রাসীরা খবর পেয়ে আগ থেকে সরে যায়। বহুবার নিরাপত্তাবাহিনীর সাথে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের মুখোমুখি গোলাগুলি হয়েছে। সেখানে নিরাপত্তা ক্যাম্প স্থাপনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন