parbattanews

লামায় পাহাড় কেটে ইট ভাটা স্থাপন করায় ৩ ইটভাটার মালিকের বিরুদ্ধে মামলা

লামা প্রতিনিধি:

বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়নের পাগলির বিল এলাকায় পাহাড় কেটে অবৈধভাবে ইটভাটা স্থাপন করায় ৩ ইটভাটার মালিক সহ ৫ জনকে আসামী করে লামা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক জাহানারা ইয়াছমিন বাদী হয়ে শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে এই মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীরা হল- এ.টি.এম ইসমাইল সিকদার(৬৮), তার ছেলে এ.টি.এম শহিদুল ইসলাম(৩৫), ইটভাটার মালিক গিয়াস উদ্দিন(৪০), মাষ্টার খাইরুল ইসলাম(৪৫) ও ইয়াছির আরাফাত(৩৮)। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০ জনকে আসামী করা হয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক জাহানারা ইয়াছমিন জানান, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ১৯৯৫ সংশোধিত ২০১০ এর ৪ এর ২, ৬ এর খ, ঙ এবং ১২ ধারায় এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। লামা থানার মামলা নং- ০২, তাং- ০১/০৯/২০১৮ইং। পরিবেশ অধিদপ্তর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করবেন।

জানা গেছে, এর পূর্বে বৃহস্পতিবার ফাইতং ইউনিয়নের পাগলির বিল এলাকায় লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে অভিযান পরিচালনা করে ৩টি ইটভাটাকে ১ লক্ষ টাকা করে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানা করে। পরে অভিযান চালিয়ে পাহাড় কাটার ৩টি স্কাভেটর, ১ লক্ষ ইট জব্দ করা হয়। পাহাড় কাটার জন্য জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার করার লক্ষ্যে মজুদকৃত ১০ ড্রাম জ্বালানী নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।
স্থানীয় অধিবাসীরা অবৈধভাবে পাহাড় কেটে ইট ভাটা স্থাপন করায় প্রতিকার চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করলে প্রশাসন অভিযানে নামে।

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি জানান, অবৈধভাবে ইট ভাটা স্থাপন করার জন্য অনেক পাহাড় কেটে ফেলা হয়েছে। কৃষি জমি নষ্ট করে মাটি সংগ্রহ করা হচ্ছে। জলাধার ভরাট করা হয়েছে। ইট ভাটা স্থাপন করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র নেই। অবৈধভাবে পাহাড় কাটা ও পরিবেশের ক্ষতি করে ইট ভাটা স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। লামা থানার অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা মামলা রুজু করার সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

 

Exit mobile version