রোয়াংছড়িতে ৩ দিনব্যাপী ফলদ বৃক্ষ রোপন ও ফলদ বৃক্ষ মেলা উদ্বোধন


রোয়াংছড়ি প্রতিনিধি:

রোয়াংছড়ি উপজেলায় প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক যৌথ আয়োজিত অনুষ্ঠানে “স্বাস্থ্য পুষ্টি অর্থ চাই দেশি ফলের গাছ লাগাই” প্রতিবাদ্যকে সামনে রেখে ৩ দিনব্যাপী ফলদ বৃক্ষ রোপন পক্ষ ও ফলদ বৃক্ষ মেলা উপলক্ষ্যে উপজেলা চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে উপজেলায় কৃষি অফিস প্রাঙ্গনের এসে অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাউসাং মারমা।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে আলোচনা সভার শুরুতে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আলবেলা।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রকাশ বড়ুয়ার সঞ্চালনায় ও নির্বাহী অফিসার রবীন্দ্র চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মাউসাং মারমা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভাইস চেয়ারম্যান ক্যসাইনু মারমা, মন্ত্রী প্রতিনিধি নেইতং বইতিং বম, আলেক্ষ্যং ইউপির চেয়ারম্যান বিশ্বাথ তঞ্চঙ্গ্যা, উপজেলায় কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুন নেছা প্রমুখ। এছারাও সরকারি-বেসকারি বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাসহ সুশীল সমাজের গণ্যমান্যসহ অত্র অফিসের সকল কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বক্তারা বলেন, কৃষি অফিসের সহায়তায় কৃষকদের কৃষি উৎপাদনে সফলতা ও লাভবান হয়েছে। ফলদ বৃক্ষ রোপনে ব্যাপক পরিমাণে লাভ জনক হয়েছে প্রায় কৃষক। এলাকার যোগাযোগ সুবিধার ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করতে পাচ্ছে। এর ফলে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবানের কারণে পারিবারিক ভাবে স্বচ্ছল হচ্ছে। এক সিজনের ৬ লক্ষ থেকে ৭লক্ষ টাকা পর্যন্ত উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করে লাভবান হচ্ছে।

চেয়ারম্যান মাউসাং মারমা বলেন, কৃষি দেশ বাংলাদেশ, রোয়াংছড়ি উপজেলা বাসী সকলেই প্রান্তি কৃষক। কৃষক কৃষাণী ফলানো ও উৎপাদিত কৃষিপণ্যগুলো শুধু এ উপজেলাতে সিমিত না রেখে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ করতে পারে এমন ব্যস্থায় গ্রহণ ও উদ্যোগ নিতে হবে। সরকার কৃষির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে নানা দিক থেকে সহায়তা প্রদান করে থাকেন। উপজেলায় কৃষি অধিদপ্তর থেকেও দেখভাল করতে ব্লক ভিত্তি সুপার ভাইজার দিয়ে সযোগিতা দেন। উৎপাদিত ফলনের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে কৃষকরা অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হচ্ছে। আগামীতে আরও কৃষকদের কৃষি সম্প্রসারণ করতে কৃষি বিভাগকে সার্বিক সযোগিতা প্রদানে আহ্বান জনান।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কৃষক সুজিক কুমার দাশ, যোসেফ প্রীতি কান্তি ত্রিপুরা, মৎস কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা অরুন নাথ, পাইক্ষ্যং রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আনিসুল হক, কৃষক মো. মোর্শেদ প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ২৭জন সফল কৃষকদের মাঝে বীজ সংরক্ষণের লক্ষে উপজেলায় কৃষি অফিস থেকে প্লাষ্টিক ড্রাম বিতরণ করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন