Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

রোহিঙ্গা ক্যাম্প কর্মকর্তার যৌন কেলেঙ্কারির দায় নিয়ে অক্সফামের ক্ষমা প্রার্থনা

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনায় অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করলো যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় দাতব্য সংস্থা অক্সফাম ইউকে।বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকৃত এক কর্মকর্তাসহ সংস্থাটির কয়েকজন কর্মকর্তা কর্তৃক জুনিয়র সহকর্মীদের যৌন হয়রানিসহ হাইতিতে শিশুদের যৌন কাজে ব্যবহার এবং চাঁদে যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় এই ক্ষমা প্রার্থনা।

অক্সফামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক গোল্ডরিং সংস্থাটির বোর্ড অব ট্রাস্টির এক বৈঠক শেষে প্রকাশ্যে এই ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

১৩ ফেব্রুয়ারি (বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী ১৪ ফেব্রুয়ারি) এক খোলা চিঠির মাধ্যমে যৌন কেলেঙ্কারির জন্য সেবা গ্রহীতা, সমর্থক এবং কর্মীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি।

দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচির নামে হাইতিতে শিশুদের যৌন কাজে বাধ্য করে সংস্থাটির কয়েকজন কর্মকর্তা। পাশাপাশি জুনিয়র সহকর্মীদের যৌন হয়রানিতে জড়িত ছিলো তারা। ব্রিটিশ দৈনিক লন্ডন টাইমস্ এর এক প্রতিবেদনে বিষয়টি প্রথম উঠে আসে।

প্রথম দিকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হলেও যুক্তরাজ্য সরকার থেকে শুরু করে বিশে^র অগণিত মানুষের চাপের মুখেই অক্সফামের ক্ষমা প্রার্থনার ঘটনা ঘটলো। এই ঘটনায় সংস্থাটির উপ-প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিস পেনি লরেন্স পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগের কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, “ আমি লজ্জিত। আমার চোখের উপরই সবকিছু ঘটেছে।”

যদিও অক্সফামের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে ২০১১ সালে হাইতির ঘটনার বিষয়টি জানার পরেই সংস্থাটির পক্ষ থেকে ৪ কর্মীকে বরখাস্ত এবং ৩ কর্মীকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। কিন্তু যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িত এক সহকর্মীর ব্যাপারে প্রশংসামূলক রিপোর্ট প্রদান করেছিলো অক্সফাম। সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই রোনাল্ড ফাউ হাওয়ারমেইরেন নামে অক্সফামের সাবেক এই কর্মকর্তা বাংলাদেশে কর্মরত ছিলেন। কাজ করতো এসিএফের বাংলাদেশ মিশন প্রধান হিসেবে। ২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পেই কাটতো তার অধিকাংশ সময়। কয়েকমাস আগেও পুনরায় অক্সফামের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্ব পালনের অভিযোগ উঠেছিলো তার বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানাজানি হলে রাতের আঁধারে সে কক্সবাজার ত্যাগ করে। এরপর থেকে তাকে আর দেখা যায়নি।

 

সূত্র: Cox’s Bazar Mail

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন