Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

রোহিঙ্গাদের কারণে দেড়শো কোটি টাকার বনজ সম্পদ ধ্বংস 

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কারণে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে বলে আশংকা করছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির বৈঠকে জানানো হয়েছে, রোহিঙ্গাদের কারণে এ পর্যন্ত ১৫০ কোটি ৮৭ লাখ টাকার বনজ সম্পদ ধ্বংস হয়েছে।

এরই মধ্যে পাহাড়, জলাশয়, সুমুদ্র সৈকতসহ পাকৃতিক পরিবেশের ওপর ব্যাপক  বিপর্যয় নেমে এসেছে। সম্ভাব্য আরও বিপর্যয় ঠেকাতে এবং এরই মধ্যে ঘটে যাওয়া বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশও করেছে কমিটি।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ড. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, নবী নেওয়াজ, মো. গোলাম রাব্বানী, মো. ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী, টিপু সুলতান ও মো. ইয়াসিন আলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বৈঠক শেষে জাতীয় সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ জানান, মানবিক কারণে সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। তাদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণও যাচ্ছে। কিন্তু তাদের জ্বালানির কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে প্রাকৃতিক বন থেকে তারা জ্বালানি সংগ্রহ করছে। এতে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। টেকনাফ রুটের সব গাছপালা উজাড় হয়ে যাচ্ছে। বন অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত শুধু বনভূমিরই ক্ষতি দেড়শো কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। আর পাকৃতিক পরিবেশের সার্বিক ক্ষতির হিসাব এর চেয়ে অনেক বেশি।

রোহিঙ্গাদের কারণে আগামীতে অবধারিতভাবে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরই মধ্যে পর্যটন ব্যবসায় ধস নেমেছে। কক্সবাজার অঞ্চলে পর্যটকদের যাওয়ার মতো অনুকূল পরিবেশ আর নেই। পাহাড়-জলাশয় নষ্ট হচ্ছে। যা এখন উদ্বেগজনক মাত্রায়  পৌঁছেছে। বনের পাশাপাশি পরিবেশের অন্যান্য খাতে কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপন করে আগামী বৈঠকে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

কমিটিসূত্র জানায়, বৈঠকে আলোচনা শেষে বনের ক্ষতি কমাতে জ্বালানিসাশ্রয়ী চুলা সরবরাহের সুপারিশ করা হয়েছে। প্রয়োজনে তাদের জন্য বায়োগ্যাস প্লান্ট বসানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এটা করা সম্ভব হলে বনের ক্ষতি ৫০ শতাংশ কমে আসবে বলে জানান কমিটির সদস্য টিপু সুলতান।

তিনি আরও জানান, রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়ার পর যেসব এলাকা ফাঁকা হচ্ছে, সেখানে নতুন করে বনায়নের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া বৈঠকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ও সেন্টমার্টিন্স এলাকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।

এদিকে বৈঠকে আগামী ৬ থেকে ১৭ নভেম্বর জার্মানিতে অনুষ্ঠেয় জলবায়ু সম্মেলন নিয়ে আলোচনা হয়। কমিটির পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত জলবায়ুর ক্ষতিপ‍ূরণ প্রাপ্তি এবং ওই সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রত্যাশা নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কমিটির কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।

সূত্র: বাংলানিউজ ২৪ডট কম

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন