Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

রোহিঙ্গাদের এইডস জিবানু দিয়েছে মিয়ানমারের চিকিৎসকরা!

নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান:

রাখাইন রাজ্যের চিকিৎসকরা রোহিঙ্গাদের পরিকল্পিতভাবে প্রাণঘাতি এইচআইভি এইডস রোগ ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। একাধিক এইডস রোগী রোহিঙ্গারা অভিযোগে বলছেন মিয়ানমারের চিকিৎসকেরা তাদের চিকিৎসার নামে এইচআইভির জীবানু শরীরে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক ভাবে বিষয়টি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এইডস রোগীরা।

মিয়ানমারে গরু বাচ্ছা দিলে সেনাবাহিনীকে জানাতে হয়। একপাড়া থেকে অন্য পাড়ায় গেলে সেনাবাহিনীর অনুমতির প্রয়োজন হয়। সেখানে রোহিঙ্গারা অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পরতে পারে তা দেখার বিষয়। এছাড়া মিয়ানমার এইডস রোগের ঝুকি বেশি। এর হার প্রায় ৯%।

কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে এইডস রোগে আক্রান্ত রোগীদের গোপনে কক্সবাজার সরকারি হাসপাতালে গোপনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। চিকিৎসকেরা আক্রান্ত রোগীদের রোগের কারণ সম্পর্কে জানার চেষ্টায় নানা প্রশ্নের উত্তরে বেরিয়ে আসে এইচআইভি/এইডস রোগ কিভাবে রোহিঙ্গাদের আক্রান্ত করেছে সেনাবাহিনী ও চিকিৎসকরা।

উখিয়ায় দায়িত্ব পালনকারী চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রোগীদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এরা মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও চিকিৎসকদের প্রতারণার শিকার। চিকিৎসক জানিয়েছেন, এক মহিলা ডেলিভারির জন্য মিয়ানমার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানে রোগীর পরিক্ষার জন্য রক্ত নেয়া হয়েছিল। এরপর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ফেরার ৫/৬ বছর পর শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। পরে সেখানে একটি বড় সরকারি হাসপাতালে গিয়ে টেস্ট করার পর জানতে পারেন তার দেহে এইচআইভির জীবানু পাওয়া গেছে।

চিকিৎসকের কাছে অন্য একজন পুরুষ জানিয়েছেন, মিয়ানমারে শান্ত পরিবেশের সময় তিনি সরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলেন কিছু টেস্ট করার জন্য। এর ৫/৬ বছর পর তার শরীরের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। বিভিন্ন চিকিৎসা ও ঔষুধ খাওয়ার পরও সুস্থ না হওয়ায় একদিন মিয়ানমারের ভাল ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি তাকে পরীক্ষা করে জানান যে তার এইডস হয়েছে। এখন তিনি এইডস আক্রান্ত রোগী। তিনি জানান, সরকারি একটি হাসপাতালে একটি সিরিঞ্জ দিয়েই অনেকের দেহ থেকে রক্ত সংগ্রহ করে সেখানকার ডাক্তার। এই সিরিঞ্জ দিয়ে তারও রক্ত নেয়া হয়। একারণে তার এইডস রোগ হয়েছে।

রোহিঙ্গাদের দাবি, রোহিঙ্গাদের ধ্বংস করার জন্য মিয়ানমার সরকার পরিকল্পিতভাবে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রের এটাও একটি অংশ। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রক্ত নেয়া এবং ইনজেকশন দেয়ার সময় মিয়ানমারের ডাক্তাররা ষড়যন্ত্রমুলক এইচআইভি/এইডস জীবানুযুক্ত সিরিঞ্জ দিয়ে সুস্থ রোহিঙ্গাদের ইনজেকশন দিয়ে থাকতে পারে যা একেবারেই অনৈতিক।

রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গারা এক পাড়া থেকে অন্য পাড়ায় যেতে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমোদন লাগে। তাদের পক্ষে অন্য কোথাও গিয়ে অনৈতিক কাজ করা সম্ভব নয়। এইচআইভি আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগী খুব রক্ষণশীল।

এইচআইভি আক্রান্ত একজন মহিলা রোগী জানিয়েছেন, তিনি নিজে কখনো অনৈতিক কোনো আচরণ করেননি। তার স্বামীও কখনো এ ধরনের কাজ করবে তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। তিনি তার স্বামীকে খুবই বিশ্বাস করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে চিকিৎসক জানিয়েছেন, আক্রান্তদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এদের বেশির ভাগই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও চিকিৎসকদের ষড়যন্ত্রের শিকার। ওখানকার চিকিৎসকেরা জেনে বুঝেই এই জঘন্য কাজটি করেছেন হয়তো। রোগীরা যখন বিভিন্ন টেস্ট করার জন্য রক্ত দিয়েছেন এবং যখন থেকে তাদের মধ্যে এইচআইভির প্রতিক্রিয়ায় নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে রোগীদের বক্তব্য অনুযায়ী ওই সময়টি হিসাব করে দেখা গেছে, ওই সময়ের মধ্যেই মানুষের শরীরে এইচআইভি’র লক্ষ্মণ প্রকাশ পেয়ে থাকে।

উল্লেখ্য এইচআইভি’র জীবানু শরীরে প্রবেশের পর থেকে লক্ষ্মণ প্রকাশের সময়কাল ৬ থেকে ৮ বছর। এখানে এইচআইভি/এইডস আক্রান্তদের যারা এসেছেন তাদেরও ঠিক এ সময়ের মধ্যে লক্ষ্মণ প্রকাশিত হয়েছে।

রাখাইন রাজ্যের বুচিডংযের বাসিন্দা আসমা (প্রকৃত নাম নয়) নামের রোহিঙ্গা জানিয়েছেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত। তারা অনুমতি ছাড়া হাসপাতালেই যেতে পারেন না। কিন্তু মাঝে মাঝে মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের সেনাবাহিনী টিকা দেয়া হয়েছে।

আসমা জানিয়েছেন, এখানে চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে মনে হচ্ছে মিয়ানমার সরকার এইচআইভির মতো কোনো জীবানু আমাদের শরীরে ঢুকিয়ে দিয়েছে কিনা জানি না। মিয়ানমারে টেন ক্লাস পড়ুয়া আসমা জানান, আমাদের এ অভিযোগটি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের তদন্ত করে দেখা উচিৎ।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন