রামুতে সাংবাদিক মালেকের উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের: জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি

 

রামু প্রতিনিধি:

রামুতে দক্ষিণ মিঠাছড়িতে পাহাড় কাটার সংবাদ সংগ্রহকালে সংবাদকর্মীর উপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার (১৪ মে) রামু থানায় মামলাটি দায়ের করেন, হামলার শিকার দৈনিক আমাদের কক্সবাজার এর রামু প্রতিনিধি আবদুল মালেক সিকদার।

মামলায় দক্ষিণ মিঠাছড়ির বহুল আলোচিত পাহাড় খেখো ফরিদুল আলম, শহিদুল্লাহ, মোহাম্মদ আলমসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৯ মে সকালের রামু দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের পূর্ব পানেরছড়া বলিপাড়া এলাকায়  জনৈক পুরুইক্কা মাহাছনের বাড়ির পাশে বন বিভাগের পাহাড় কাটার সংবাদ সংগ্রহ করতে যান সাংবাদিক আবদুল মালেক সিকদার।

এসময় পাহাড় কাটায় জড়িত পূর্ব পানেরছড়া আবদুল গফুরের ছেলে ফরিদুল আলম, পানেরছড়া বলিপাড়া এলাকার মোহাম্মদ আলমের ছেলে শহিদুল্লাহ ও আবদুল মজিদের ছেলে মোহাম্মদ আলমসহ আরও কয়েকজন সন্ত্রাসী আবদুল মালেক সিকদারকে লোহার রড়, খুন্তি, দা, লাটি-সোটা নিয়ে হামলা চালায়। হামলাকারীরা আবদুল মালেক সিকদারের চোখ উপড়ানোর চেষ্টা করে এবং দা দিয়ে কুপিয়ে ও লোহার রড, খুন্তি ও লাটি-সোটা দিয়ে আঘাত করে পুরো শরীর জখম করে। হামলাকারীরা আবদুল মালেকের কাছে থাকা ক্যানন ব্রান্ডের একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা আবদুল মালেকের দু পা কেটে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এসময় তার আর্তচিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

রামু থানার ওসি একেএম লিয়াকত আলী জানিয়েছেন, এ ঘটনায় মামলা (নং ১৯) রুজু হয়েছে। মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এদিকে রামুতে কর্মরত সকল সংবাদকর্মী সাংবাদিক আবদুল মালেক সিকদারের উপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এ হামলায় জড়িত সকল সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে।

উল্লেখ্য এ ঘটনার পরও রামু দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের পূর্ব পানেরছড়া বলিপাড়া এলাকায় জনৈক পুরুইক্কা মাহাছনের বাড়ির পাশে বন বিভাগের পাহাড় কাটা অব্যাহত রয়েছে। ওই এলাকার বহুল আলোচিত পাহাড় খেখো ফরিদুল আলম, শহিদুল্লাহ, মোহাম্মদ আলমসহ একটি শক্তিশালি সিন্ডিকেট বন বিভাগের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে দিনরাত পাহাড় নিধন করে যাচ্ছে। যার কারণে ওই এলাকায় চরম পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন