parbattanews

রাঙ্গামাটিতে জেলা উন্নয়ন কমিটির সভা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

রাঙ্গামাটিতে জেলা উন্নয়ন কমিটির সভা সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় রাঙ্গামাটি সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) ইউছুফ সিদ্দিকী, পিপিএম, রাঙ্গামাটি চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট বেলায়েত হোসেন বেলাল, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল’সহ জেলা ও উপজেলার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তি অনুযায়ী পর্যটন পার্বত্য জেলা পরিষদে হস্তান্তর হলেও পরিষদের অনুমতি বা পরামর্শ ছাড়াই যত্রতত্র ভাবে জেলার বিভিন্ন স্থানে পর্যটন স্পট গড়ে উঠছে যা মোটেই কাম্য নয়। তিনি বলেন, যারা সমন্বয় না করে এভাবে পর্যটন স্পট করছে তারা সরকারকে একদিন জবাব দিতে হবে। তিনি বলেন, পর্যটন ও পার্বত্যবাসীর উন্নয়ন আমরা অবশ্যই চাই। সেজন্য সকলকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। সমন্বয় করে কাজ করলে এ জেলা অর্থনৈতিক-সামাজিকসহ বিভিন্ন দিক দিয়ে এগিয়ে যাবে।
তিনি এ জেলার মানুষের জীবনমানের টেকসই উন্নয়নে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) ইউছুফ সিদ্দিকী বলেন, সন্ত্রাস ও মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন হতে সবসময় কঠোর কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। যে কারণে জেলায় বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। যে কোন স্থানে মাদক বিক্রী ও সেবনের কোন তথ্য থাকলে তা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান তিনি।

রাঙ্গামাটি চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, দেশকে মেধাশূন্য করতে একটি চক্র প্রশ্নপত্র ফাঁস করছে। যার প্রভাব আমাদের এ জেলায়ও পড়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসন, অভিভাবকসহ সকল শ্রেণি পেশার জনগণকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি বলেন, পার্বত্য জেলায় পর্যটন খাতের উন্নয়নে সরকার হতে যেসব প্রকল্প গ্রহণ করা হবে তা জেলা পরিষদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন হওয়া উচিত। অন্যথায় অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে প্রকল্প দেওয়া হলে তা অদৃশ্য হয়ে যাবে, কোন উন্নয়ন হবে না।

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী প্রিসলি চাকমা জানান, অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন বর্তমানে রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজ কাম পরীক্ষা কেন্দ্র ৮৭, উলুছড়ি হাই স্কুল ৮৫, তুলাবান হাই স্কুল ৯০, কাউখালী কলেজ ৫৬, কেআরসি উচ্চ বিদ্যালয় ৯৫ ও টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের কাজ ১৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।

তিন পার্বত্য জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মকর্তা শেখ সাকিব হোসেন বলেন, জেলার শুকুরছড়ি বিদ্যুৎ সাব কেন্দ্রটি চালুর লক্ষ্যে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য ৫৫টি টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। আগামী জুন-জুলাইয়ের মধ্যে মালামাল পাওয়া গেলে কাজ শুরু হবে।

এছাড়া সভায় উপস্থিত অন্যান্য বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ স্ব স্ব বিভাগের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন।

Exit mobile version